মাঠেই ধাক্কাধাক্কি ভারত ও পাকিস্তানের ফুটবলারদের। থামানোর চেষ্টা করছেন রেফারিরা। ছবি: টুইটার
সাফ কাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪-০ গোলে ভারত উড়িয়ে দিলেও গোটা ম্যাচ নির্বিঘ্নে হল না। ম্যাচ চলাকালীনই অশান্তিতে জড়ালেন দু’দলের ফুটবলারেরা। মাঠেই ধাক্কাধাক্কি হল। পরিস্থিতি সামলাতে হস্তক্ষেপ করতে হল রেফারিকে।
ঘটনাটি ঘটে প্রথমার্থের বিরতির ঠিক আগে। তখন ০-২ গোলে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। ফলে গোল করার তাগিদ অনেক বেশি ছিল পাক ফুটবলারদের। ভারতের ডাগআউটের সামনে পাকিস্তানের ডিফেন্ডারের সঙ্গে লড়াইতে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান প্রীতম কোটাল। পাকিস্তান থ্রো-ইন পায়। কিন্তু ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ আবেদন করতে থাকেন ফাউলের। রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি। পাকিস্তানের আবদুল্লাহ ইকবাল থ্রো করতে যান। ঠিক তার আগে ভারতের কোচ পিছন থেকে তাঁর হাত থেকে বল কেড়ে নেন।
পাকিস্তানের ফুটবলাররা সঙ্গে সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একের পর এক ফুটবলার ছুটে আসেন। পাকিস্তানের কয়েক জন ফুটবলার ধাক্কা মারেন স্তিমাচকে। ভারতের ফুটবলাররা এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পাকিস্তানের ফুটবলারদের রাগ কিছুতেই কমছিল না। আসরে যোগ দেন পাকিস্তানের কোচও। তিনিও রেগে গিয়ে স্তিমাচকে লক্ষ্য করে কিছু বলতে থাকেন। বেশ কয়েক বার তেড়েও যান।
🎥 | Heat Moments 🤯
— All About Indian Football (@Indian_Footbal1) June 21, 2023
Powered by - Igor Stimac #INDPAK pic.twitter.com/C8SomOTPPZ
রেফারি, লাইন্সম্যান এবং দু’দলের কিছু ফুটবলারের মধ্যস্থতায় ঝামেলা থামে। রেফারি ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী এবং পাকিস্তানের অধিনায়ক হাসান বশিরকে মাঠে ডেকে কিছু কথা বলেন। তার পরেই স্তিমাচকে লাল কার্ড দেখান তিনি। এর ফলে শনিবার নেপালের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচে ডাগ আউটে থাকতে পারবেন না স্তিমাচ। তাঁর বদলে কোচিং করাবেন মহেশ গাউলি। পাকিস্তানের কোচকেও হলুদ কার্ড দেখানো হয়। এ ছাড়া হলুদ কার্ড দেখানো হয় ভারতের সন্দেশ জিঙ্ঘন এবং পাকিস্তানের নবিকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্তিমাচের ওই আচরণ নিন্দনীয়। ওই পরিস্থিতিতে, প্রতিপক্ষ যেখানে পাকিস্তানের মতো দল, ও রকম আচরণ করার কোনও দরকারই ছিল না। সাজঘরে ফেরার আগে স্তিমাচ অবশ্য হাততালি দিয়ে দর্শকদের আরও তাতিয়ে দেন।
এই ঝামেলা বাদ দিলে বাকি সময়টা দাপট দেখায় ভারত। ফিফা ক্রমতালিকায় প্রায় ১০০ ধাপ পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে সারা ক্ষণ চাপে রাখেন সুনীলরা। দুই অর্ধে মোট চারটি গোল দেয় ভারত। সুনীল হ্যাটট্রিক করেন। ভারতের হয়ে আর একটি গোল করেন উদান্তা সিংহ।