ফেডারেশন নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ভাইচুংয়ের। ফাইল ছবি।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করলেন ভাইচুং ভুটিয়া। কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটিতেও কো-অপ্ট সদস্য হিসাবে না থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সভাপতি পদে কল্যাণ চৌবের কাছে বিপুল ব্যবধানে হেরে হতাশ ভাইচুং।
নির্বাচনে হারলেও প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে আইএম বিজয়ন, সাবির আলি, ক্লাইম্যাক্স লরেন্সের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ কমিটির কো-অপ্ট সদস্য হয়েছেন ভাইচুং। সেই পদেও থাকতে খুব একটা আগ্রহী নন তিনি। যোগ দেননি কমিটির শনিবারের বৈঠকেও। ভাইচুং বলেছেন, ‘‘আমাকে কো-অপ্ট সদস্য করা হয়েছে। শনিবারের বৈঠকে যোগ দিতে পারিনি। আদৌ এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে যোগ দেব কি না, তা দু’এক দিনের মধ্যে ঠিক করব।’’
ফেডারেশন নির্বাচনে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভাইচুং। নির্বাচনে হার-জিত থাকলেও ফল মেনে নিতে পারছেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি অত্যন্ত হতাশ। এমন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হবে ভাবতে পারিনি। ফেডারেশন নির্বাচনে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। ভেবেছিলাম এটা শুধু ফুটবলের সভাপতি নির্বাচন। আন্তরিক ভাবে কিছু অবদান রাখতে চেয়েছিলাম।’’ হতাশ ভাইচুং ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেছেন, ‘‘ওঁরা জয় নিয়ে যদি এতই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তা হলে নির্বাচনের আগের দিন রাত ন’টার সময় হোটেলে কেন এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আসতে হল? কেন তাঁকে রাত দু’টো পর্যন্ত থাকতে হল? মন্ত্রী যে হোটেলে এসেছিলেন, সেখানেই ছিলেন ফেডারেশন নির্বাচনের ভোটাররা। হোটেলের একটি তলায় সকলকে ডেকে উনি কথা বলেছেন।’’
ভাইচুংয়ের আরও অভিযোগ, ‘‘৩৪ জন ভোটদাতার মধ্যে ৩৩জনই মন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। সে সময় হোটেলের ওই তলায় বাইরের সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি কোনও ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। নেটওয়ার্কও খুব খারাপ ছিল সে সময়। রাজস্থান ফুটবল সংস্থার সচিবকে ফোন করার চেষ্টা করি। তিনি এই নির্বাচনের ভোটার ছিলেন। তাঁর সংস্থার সভাপতি মানবেন্দ্র সিংহ আমার মনোনয়নের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু ওঁকেও ফোনে পাইনি।’’
ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপকে ভারতীয় ফুটবলের জন্য ক্ষতিকর বলেছেন ভাইচুং। প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘এটা অত্যন্ত হতাশার। আমি খুবই আঘাত পেয়েছি। ভারতীয় ফুটবলের জন্য দুঃখজনক ঘটনা।’’ উল্লেখ্য, সহ-সভাপতি পদে ল়ড়াই করে হেরে রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়ক মানবেন্দ্র শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন। এ বার ভাইচুংও সেই সুরেই কথা বললেন।