ভারতীয় দলে খেলার সময় সুনীল এবং ভাইচুং। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ
নিজের হাতেই বেছে নিয়েছিলেন উত্তরসূরিকে। বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে সুনীল ছেত্রীই টেনে নিয়ে যাবেন ভারতীয় ফুটবলকে। তাই দ্বিধা করেননি অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরিয়ে দিতে। সেই সুনীলের অবসরের দিনে ব্যথিত ভাইচুং ভুটিয়া। জানিয়েছেন, ভারতীয় ফুটবলের বড় ক্ষতি হল।
সংবাদ সংস্থাকে ভাইচুং বলেছেন, “ভারতের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসাবে বরাবর থেকে যাবে সুনীল। ভারতীয় ফুটবলে ওর অবদান অসামান্য। সত্যি বলতে, ভারতীয় ফুটবলের কাছে সুনীলের অবসর একটা বিরাট ক্ষতি।”
তিনি আরও বলেছেন, “বয়সে বড় হলেও সুনীলের পাশে খেলতে পেরে আমি ভাগ্যবান। আমি যখন খেলতে এসেছিলাম তখন আইএম বিজয়ন আমার সিনিয়র ছিল। তার পরে এল সুনীল। ভারতীয় ফুটবলের দুই যোদ্ধার সঙ্গে খেলতে পেরেছি। এটা ভেবেই আমি তৃপ্ত।”
১৯ বছর পর দেশের জার্সিতে সুনীল ছেত্রী অবসর ঘোষণা করার দিনে স্মৃতিমেদুর বাবা খড়্গ ছেত্রীও। জানালেন, আবেগ সামলাতে পারছেন না তিনিও। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ভিডিয়োবার্তায় সুনীল জানিয়েছিলেন, অবসরের সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছিলেন তাঁর বাবা। চাপমুক্ত হয়েছিলেন। হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিলেন। তবে এক সংবাদমাধ্যমে সুনীলের বাবা জানালেন, এই খবরে দুঃখও পেয়েছেন। খড়্গ বলেছেন, “অনেক দিন হয়ে গেল খেলছে। আমার বিশ্বাস ও ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেক বছর ওর খেলাধুলোর। আজ সত্যিই বেশি কিছু বলার নেই। বেশ দুঃখ লাগছে। অগস্টে সুনীলের ৪০ হয়ে যাবে। এত বছর দেশের হয়ে খেলেছে। আমি গর্বিত।”
দীর্ঘ ১৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রীড়াজীবনে সুনীলের সেরা মুহূর্ত বেছে নেওয়ার প্রশ্নে খড়্গ বলেছেন, “এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কোন ম্যাচ সেরা সেটা বলা মুশকিল। সমর্থকেরা হয়তো কোনও একটা ম্যাচ বেছে নিতে পারেন। কিন্তু আমার কাছে ওর সব ম্যাচই গুরুত্বের। ও ভাবে একটা ম্যাচ বেছে নেওয়া মুশকিল। অনেক বার বলেছে অভিষেক ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোল ওর হৃদয়ে সবচেয়ে বেশি জায়গা জুড়ে রয়েছে। কিন্তু ৯৪টা গোলের মধ্যে আলাদা করে কোনও একটা বেছে নিতে পারব না।”