বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন কেভিন প্রিন্স বোয়াতেং (ডান দিকে)। জেরার্ড পিকে (বাঁ দিকে) ও মেসির সঙ্গে বার্সা জার্সিতে প্রিন্স। —ফাইল চিত্র
মাঝেমধ্যেই চোট পেতেন তিনি। কিন্তু সেটা খেলতে গিয়ে বা অনুশীলনে নয়, বিছানায়। স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন করতে গিয়েই নাকি চোট পেতেন কেভিন প্রিন্স বোয়াতেং। অবস্থা এমন হয়েছিল, যে কেরিয়ারই শেষ হয়ে গিয়েছে তাঁর। সেই কারণেই স্ত্রী মেলিসা সাট্টার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর। ২০১৯ সালে বার্সেলোনায় এসেছিলেন প্রিন্স। লিয়োনেল মেসির প্রাক্তন সতীর্থ এখন খেলেন জার্মানির ক্লাবে।
২০১১ সালে মেলিসার সঙ্গে সম্পর্ক প্রিন্সের। ২০১৬ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। একটি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। ২০১৯ সাল থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন দু’জনে। ২০২০ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। কিন্তু কেন সম্পর্কে অবনতি হয়েছিল প্রিন্স ও মেলিসার? তার কারণ, অতিরিক্ত যৌন মিলন।
একটি সাক্ষাৎকারে মেলিসা বলেছেন, ‘‘সপ্তাহে অন্তত ১০ বার যৌন মিলন করতাম। আমিই বেশি আগ্রাসী ছিলাম। তার জন্য প্রিন্স অনেক বার চোট পেয়েছে। তখন ও এসি মিলানে খেলত। বার বার চোট পাওয়ায় ওর কেরিয়ারে সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’’
হের্থা বার্লিনে কেরিয়ার শুরু করলেও ২০০৭ সালে টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দিয়েছিলেন প্রিন্স। ২০১০ সালে যান এসি মিলানে। সেই সময়ই ইতালির মেলিসার সঙ্গে তাঁর পরিচয়। ২০১৩ সাল পর্যন্ত মিলানের ক্লাবে খেলেছিলেন প্রিন্স। আবার ২০১৬ সালে সেই ক্লাবে যোগ দেন। ২০১৯ সালে তাঁকে লোনে নেয় বার্সেলোনা। লুইস সুয়ারেজের বিকল্প হিসাবে ভাবা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এক বছরই তিনি স্পেনের ক্লাবে ছিলেন। ২০২১ সাল থেকে নিজের প্রথম ক্লাব হের্থায় ফিরে গিয়েছেন প্রিন্স। জার্মানির হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯, ২০ ও ২১ পর্যায়ে খেললেও ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ঘানার জাতীয় দলে খেলেছেন প্রিন্স। তার পর থেকে আর দেশের জার্সিতে দেখা যায়নি তাঁকে।
অন্য দিকে মেলিসা এখন টেনিস খেলোয়াড় মাত্তেও বেরেত্তিনির সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই অ্যান্ডি মারের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছেন মাত্তেও। প্রতিযোগিতার পরে দু’জনকে বেশ কয়েক বার একসঙ্গে দেখা গিয়েছে।