Cristiano Ronaldo

বিশ্বকাপের মাঝেই ব্যাগ গুছিয়ে দেশে ফেরার হুমকি রোনাল্ডোর! পর্তুগালে বিরাট অশান্তি

কোচের উপর রোনাল্ডো এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে বিশ্বকাপের মাঝেই ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলেন। সতীর্থরা বোঝানোর পর শান্ত হন। কিন্তু তাঁর রাগ এখনও কমেনি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৩১
রোনাল্ডোকে নিয়ে পর্তুগাল শিবিরে ব্যাপক অশান্তি।

রোনাল্ডোকে নিয়ে পর্তুগাল শিবিরে ব্যাপক অশান্তি। ছবি: রয়টার্স

পর্তুগাল শিবিরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে নিয়ে সমস্যা বেড়েই চলেছে। এ বার প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, কোচের উপর রোনাল্ডো এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে বিশ্বকাপের মাঝেই ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলেন। সতীর্থরা বোঝানোর পর শান্ত হন। কিন্তু তাঁর রাগ এখনও কমেনি। ফলে মরক্কোর বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে অশান্তির আগুন অব্যাহত।

পর্তুগালের এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শেষ ষোলোয় সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রথম একাদশে রাখা হবে না বুঝতে পেরেই রেগে যান রোনাল্ডো। ম্যাচের মধ্যে তাঁকে মুখ গোমড়া করে থাকতে দেখা গিয়েছে। ৭৩ মিনিটে তাঁকে নামানো হয়। ম্যাচের পর সতীর্থরা যখন দর্শকাসনের কাছে গিয়ে সমর্থকদের অভিবাদন জানাচ্ছিলেন, তখন রোনাল্ডো একা একা হেঁটে সাজঘরে ঢুকে যান।

Advertisement

ম্যাচের পর রোনাল্ডো কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে কথা বলেন। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোচের সিদ্ধান্তে তিনি খুশি নন। হুঁশিয়ারি দেন, পরের ম্যাচেও তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখা হলে ব্যাগ গুছিয়ে কাতার থেকে দেশে ফিরে যাবেন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বেশ উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়েছে সান্তোস এবং রোনাল্ডোর মধ্যে। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যে ‘হুঁশ ফেরে’ রোনাল্ডোর। তাঁর দলে থাকা কতটা জরুরি, সেটা তিনি বুঝতে পারেন এবং দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।

সতীর্থরাও রোনাল্ডোকে বোঝাতে থাকেন। তাঁকে বলেন, রোনাল্ডো এই বিশ্বকাপে সর্ব ক্ষণ সংবাদমাধ্যমের নজরে রয়েছেন। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ফলে এখনই তিনি যদি দেশে ফেরার মতো বিরাট কোনও পদক্ষেপ নেন, তা হলে দলের উপর তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। খেলা ছেড়ে যাবতীয় নজর রোনাল্ডোর দিকেই ঘুরে যাবে। দলের বাকি ফুটবলাররা বিশ্বকাপ জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তাঁদের যাবতীয় প্রচেষ্টা রোনাল্ডোর এই একটি কাজে মাঠে মারা যাবে।

সুইৎজ়ারল্যান্ড ম্যাচের পর রোনাল্ডো দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তিনি জিমে হালকা গা ঘামিয়েছেন। আগের দিন পুরো ম্যাচ খেলতে হয়নি বলে তিনি অনুশীলনে আসার প্রয়োজন বোধ করেননি। তবে ম্যাচ জিতে ইনস্টাগ্রামে রোনাল্ডো লেখেন, “পর্তুগালের জন্য একটা দারুণ দিন। বিশ্ব ফুটবলের সব থেকে বড় প্রতিযোগিতায় ঐতিহাসিক ফল। প্রতিভা এবং তারুণ্যের মিশেল দেখা গিয়েছে। যে দল নির্বাচন করা হয়েছিল, সেটাকে প্রশংসা করতেই হবে। স্বপ্নের দৌড় চলছে। শেষ পর্যন্ত চলবে।”

রোনাল্ডো নিজের বাদ পড়া নিয়ে কিছু না বললেও তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ় একেবারেই খুশি হতে পারেননি। তিনি সরাসরি কোচ স্যান্টোসকে আক্রমণ করেছেন। ম্যাচ শেষে ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি দেন জর্জিনা। পর্তুগালের খেলা দেখার জন্য মাঠে উপস্থিত ছিলেন তিনি। জর্জিনা নিজের ছবি দিয়ে লেখেন, “পর্তুগালকে অভিনন্দন। কিন্তু ১১ জন ফুটবলার যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে, সেই সময় একজনকেই খুঁজছিল সকলে। এটা লজ্জার যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের খেলা পুরো ৯০ মিনিট দেখতে পেল না কেউ। ভক্তরা তোমার জন্য চিৎকার করছিল। তারা দাবি জানাচ্ছিল তোমাকে দেখার। আশা করি ঈশ্বর এবং তোমার বন্ধু ফের্নান্দো এক হবে আর তোমাকে আবার খেলতে দেখব।”

আরও পড়ুন
Advertisement