Cristiano Ronaldo

আবার পর্তুগাল শিবিরে রোনাল্ডোকে নিয়ে অশান্তি! ফুটবলারের প্রতি তীব্র বিরক্ত সতীর্থরা

বিশ্বকাপে বিতর্ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পিছুই ছাড়ছে না। এক দিন আগেই পর্তুগালের এক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, প্রথম একাদশে সুযোগ না পাওয়ায় রোনাল্ডো দেশে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। সেই সংবাদমাধ্যমই নতুন দাবি করল শুক্রবার।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:০৮
রোনাল্ডোকে নিয়ে আবার অশান্তি।

রোনাল্ডোকে নিয়ে আবার অশান্তি। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপে বিতর্ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পিছুই ছাড়ছে না। এক দিন আগেই পর্তুগালের এক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, প্রথম একাদশে সুযোগ না পাওয়ায় রোনাল্ডো দেশে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। সেই সংবাদমাধ্যমই নতুন দাবি করল শুক্রবার। তারা জানিয়েছে, পর্তুগাল দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত ম্যানেজারকেও রেখে দিয়েছেন রোনাল্ডো, যা মোটেই পছন্দ নয় বাকি সতীর্থদের। এই নিয়ে প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছেন তাঁরা। ফলে শনিবার মরক্কোর বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে আবার অশান্তির আঁচ পর্তুগিজ শিবিরে।

রোনাল্ডোর সঙ্গেই পর্তুগাল দলে রয়েছে রিকি রেগুফে, তিনি পর্তুগিজ তারকার ম্যানেজার। দলে নাকি তাঁর ‘প্রভাব’ বড্ডই বেশি। কেন দলের সঙ্গে ম্যানেজারকে নিয়ে ঘুরছেন রোনাল্ডো, তা সতীর্থরা বুঝতে পারছেন না। ফুটবলারদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গাতে অনায়াসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রিকি। বাকি ফুটবলারদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন। তাঁদের সঙ্গে চেষ্টা করছেন গল্পগুজব করার, গোপন খবর জানার। এটাই অনেকের পছন্দ হচ্ছে না।

Advertisement

দলের বাকি ফুটবলারদের কাউকে সঙ্গে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। সেখানে রোনাল্ডোর ম্যানেজার কী করে এত আধিপত্য দেখাচ্ছেন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ২০১৮ থেকে রোনাল্ডোর ম্যানেজার হিসাবে রয়েছেন রিকি। তার আগে এক বিশ্বখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করতেন। ২০১৬ ইউরো ফাইনালের দিন ডাগআউটে ছিলেন তিনি। ম্যাচ জেতার পর রোনাল্ডোকে জড়িয়ে ধরার ছবিও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার পর্তুগালের এই সংবাদমাধ্যমই দাবি করেছিল, সুইৎজ়ারল্যান্ড ম্যাচের আগে রোনাল্ডো কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে কথা বলেন। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখার সিদ্ধান্তে খুশি নন। হুঁশিয়ারি দেন, পরের ম্যাচেও তাঁকে প্রথম একাদশে না রাখা হলে ব্যাগ গুছিয়ে কাতার থেকে দেশে ফিরে যাবেন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বেশ উত্তপ্ত কথাবার্তা হয় সান্তোস এবং রোনাল্ডোর মধ্যে। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যে ‘হুঁশ ফেরে’ রোনাল্ডোর। তাঁর দলে থাকা কতটা জরুরি, সেটা তিনি বুঝতে পারেন এবং দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এই সংবাদের বিরোধিতা করে রোনাল্ডো সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বাইরের কিছু কিছু শক্তি একটা ঐক্যবদ্ধ দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এই দলটা বাইরের কোনও শক্তিকে ভয় পায় না। স্বপ্ন পূরণ করার জন্য শেষ পর্যন্ত এই দলটা চেষ্টা করে যাবে! আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন!”

পর্তুগিজ ফুটবল সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে লেখা হয়, “বৃহস্পতিবার এক সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, কোচ ফের্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে ঝামেলার জেরে জাতীয় দল ছেড়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আমরা জানাতে চাই, রোনাল্ডো কখনওই এমন কথা বলেননি বা এমন ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। জাতীয় দল এবং দেশের সেবা করতে রোজই রোনাল্ডো কোনও না কোনও নতুন কীর্তি স্থাপন করছেন। সেটা সমীহ করা উচিত এবং জাতীয় দলের প্রতি ওঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। ঘটনাচক্রে, সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলারের দায়বদ্ধতা আরও এক বার বোঝা গিয়েছে। এই বিশ্বকাপ যাতে পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে সেরা বিশ্বকাপ হয়, তার জন্য সমস্ত ফুটবলার, কোচ প্রথম দিন থেকে দায়বদ্ধ।”

আরও পড়ুন
Advertisement