ভাঙা গেল রোনাল্ডোর নজির। ছবি: রয়টার্স
পর্তুগালকে হারিয়ে তাদের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছে মরক্কো। বুধবার তারা সেমিফাইনাল খেলতে নামবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। তার আগে চর্চা হচ্ছে ইউসেফ এন-নেসিরিকে নিয়ে। পর্তুগালের বিরুদ্ধে তাঁর করা গোল আলোচনার কেন্দ্রে। সদ্য প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, রোনাল্ডোর রেকর্ড তাঁরই চোখের সামনে ভেঙে দিয়েছেন এন-নেসিরি।
কী সেই রেকর্ড?
জুভেন্টাসের হয়ে খেলার সময় সাম্পাদোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত গোল করেছিলেন রোনাল্ডো। গোলকিপার এবং ডিফেন্ডারকে টপকে ৮ ফুট ৪ ইঞ্চি লাফিয়ে হেডে গোল করেছিলেন তিনি। সেই নজির ভেঙে দিয়েছেন এন-নেসিরি। পর্তুগালের বিরুদ্ধে গোল করার সময় তিনি লাফিয়েছেন ৯ ফুট ১ ইঞ্চি। এ ক্ষেত্রেও এক ডিফেন্ডার এবং গোলকিপারকে এড়িয়ে গোল করেছেন এন-নেসিরি। তাঁর গোলটির সময় রোনাল্ডো ডাগআউটে বসেছিলেন। গোলের পর দীর্ঘশ্বাস ফেলতে দেখা যায় তাঁকে।
There was no stopping that from Youssef En-Nesyri 💥#LetItFly with @qatarairways pic.twitter.com/JhR5iUOsPt
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup) December 10, 2022
Usually footballers wait for the ball and then jump.
— David (@emptyinsidedave) September 28, 2020
Cristiano Ronaldo jumps and then waits for the ball. 👽
Last Time Juventus met Sampdoria Ronaldo scored a 8.3ft Header Goal In a 2-1 Victory for Juventus. 🐐 pic.twitter.com/XSEuidXOgD
ফুটবলজীবনের শুরু থেকেই ফিটনেসের ব্যাপারে বাকিদের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে রোনাল্ডো। হেড করার সময় অনেকটাই লাফাতে পারেন তিনি। অতীতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষেও সে ভাবে গোল করেছেন। রিয়ালের হয়ে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে বাইসাইকেল কিকের গোলটিও অনেকের চোখে লেগে রয়েছে। হেড করার সময় বেশ কয়েক সেকেন্ড শূন্যে থাকতে পারেন রোনাল্ডো। পর্তুগালের বিরুদ্ধে গোল করার সময় এন-নেসিরিকেও সে ভাবেই দেখা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে রোনাল্ডোর তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পরের দিনই ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি দিয়ে রোনাল্ডো লেখেন, ‘‘পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ছিল আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন এবং উচ্চাকাঙ্খা। ভাগ্যক্রমে, আমি পর্তুগালের হয়ে অনেক আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছি। কিন্তু আমাদের দেশের নাম বিশ্বের দরবারে এক নম্বরে রাখাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।’’ ৩৭ বছরের রোনাল্ডোর সংযোজন, ‘‘আমি লড়াই করেছি। আমি এই স্বপ্নের জন্য কঠোর লড়াই করেছি। ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে পাঁচ বার বিশ্বকাপে যে গোল করেছি, সর্বদা পাশে পেয়েছি দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের। সঙ্গে ছিল লক্ষ লক্ষ পর্তুগিজ জনতার সমর্থন। আমি আমার সমস্ত কিছু ঢেলে দিয়েছি। কখনও লড়াইয়ের দিক থেকে মুখ ফেরাইনি। কখনও স্বপ্নকে ছেড়ে দিইনি।’’
স্বপ্ন ছারখার হয়ে গিয়েছে। অধরা থেকে গিয়েছে বিশ্বকাপ। সে নিয়ে রোনাল্ডো লেখেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত, গতকাল সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। কোনও অজুহাত নয়। আমি শুধু চাই যে সবাই জানুক যে অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক কিছু লেখা হয়েছে, অনেক অনুমান করা হয়েছে। কিন্তু পর্তুগালের প্রতি আমার আনুগত্য এক মুহূর্তের জন্য পরিবর্তন হয়নি।’’