এ ভাবেই বার বার আর্জেন্টিনার আক্রমণ আটকে দিলেন আলওয়াইসি। তাঁকে টপকে দ্বিতীয় গোল করতে পারেননি মেসিরা। ছবি: ইমাগো
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের জয়ের নায়ক কে? সালে আলশেহরি, যিনি সমতা ফেরান? সালেম আলদাওশারি, যিনি আর্জেন্টিনার গোলে দ্বিতীয় বার বল জড়ান? না কি মহম্মদ আলওয়াইসি? যিনি পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকলেন সৌদির গোলের নীচে। এক বার পেনাল্টি ও তিন বার অফসাইড ছাড়া যাঁকে পরাস্ত করতে পারলেন না লিয়োনেল মেসিরা। গোটা ম্যাচে মোট সাত বার গোল বাঁচিয়েছেন আলওয়াইসি। তিনি না থাকলে হয়তো আরব্য রজনী দেখা যেত না বিশ্বকাপে।
২০১৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথম বার খেলতে নেমেছিলেন আলওয়াসি। কিন্তু উরুগুয়ের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচেই মাঠে নেমেছিলেন। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই জাত চেনালেন ৬ ফুট ২ ইঞ্চির গোলরক্ষক। খেলার শুরুতেই আলওয়াইসি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, গোলের নীচে তাঁকে ভরসা করতে পারে সৌদি। বক্সের মধ্যে থেকে মেসির বাঁ পায়ের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন তিনি। নইলে খেলার শুরুতেই এগিয়ে যেত আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জোড়া গোল করে এগিয়ে যায় সৌদি। গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। তখনই গোলের নীচে আরও লম্বা হয়ে দাঁড়ালেন আলওয়াইসি। ৬৩ মিনিটের মাথায় লাউতারো মার্তিনেজের শট আটকে দেন তিনি।
৭২ মিনিটের মাথায় গোল করার চেষ্টা করেন দি মারিয়া। কিন্তু পারেননি। বল ধরে ফেলেন আলওয়াসি। দু’মিনিট পরেই নিজের বক্স ছেড়ে বেরিয়ে এসে মার্তিনেজের পা থেকে একটি বল বার করে দেন আলওয়াসি। নইলে গোল করার সুযোগ বাড়ত মার্তিনেজের।
৮৪ মিনিটের মাথায় মেসিকে আবার আটকে দেন আলওয়াসি। দি মারিয়ার ক্রস ধরে হেডে গোল করার চেষ্টা করেন মেসি। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বল ধরে নেন আলওয়াসি।
অতিরিক্ত সময়েও দু’বার রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন আলওয়াসি। এক বার মার্তিনেজ ও পরের বার আলভারেজের হেড বাঁচিয়ে দেন তিনি। তাঁকে টপকে গোল করতে পারেননি আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকাররা। ফলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের।