ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে ট্রফি নিয়ে বন্ধুকে ফোন করলেন তিনি। —ফাইল চিত্র
প্রথম বার বিশ্বকাপ জয়। দীর্ঘ দিনের স্বপ্নপূরণ লিয়োনেল মেসির। রবিবার কাতারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে ট্রফি নিয়ে বন্ধুকে ফোন করলেন তিনি। সেই বন্ধুও বিশ্বকাপ খেলেছেন কিন্তু জিততে পারেননি। বার্সেলোনায় একসঙ্গেই খেলতেন তাঁরা। লিয়োনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজ। যে জুটি স্পেনের ক্লাবকে একাধিক জয় এনে দিয়েছিল।
২০০৬ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলছেন মেসি। কিন্তু জিততে পারেননি। ফাইনাল খেলেও ট্রফি ছুঁতে পারেননি। সেই সব আক্ষেপ মিটে গিয়েছে কাতারে। বিশ্বকাপ মেসির হাতে। আনন্দ করছে আর্জেন্টিনা দল। আর সেই উৎসবে যোগ দিলেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেজ। মেসি ভিডিয়ো কল করেন তাঁকে।
বার্সেলোনার হয়ে ছ’টি মরসুম একসঙ্গে খেলেছেন মেসি এবং সুয়ারেজ। ক্লাব ফুটবলে যে আক্রমণভাগকে সব থেকে ভয়ঙ্কর মনে করা হত। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব তৈরি হয় দুই দেশের ফুটবলারের। যে বন্ধুত্ব দু’জনে ক্লাব ছাড়ার পরেও রয়ে গিয়েছে। সুয়ারেজ নিজেই ইনস্টাগ্রামে মেসির সঙ্গে ভিডিয়ো কলের ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে মেসি সুয়ারেজকে বিশ্বকাপ দেখাচ্ছেন।
রবিবার ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতল তারা। শুরুতে সৌদি আরবের কাছে হারার পর মনেই করা হয়নি যে, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিততে পারে। কিন্তু পরের ম্যাচ থেকেই পাল্টে যায় মেসিদের খেলা। গ্রুপ পর্বে মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় তারা। এর পর প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় ২-১ গোলে। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারান মেসিরা। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা খেলেছিল ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে ম্যাচ জেতে আর্জেন্টিনা।
ফাইনালে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিলেন মেসিরা। পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ব্যবধান বাড়ান অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া। সেই দু’টি গোলই দ্বিতীয়ার্ধে শোধ করে দেন ফান্সের কিলিয়ান এমবাপে। অতিরিক্ত সময়ে দু’টি দলই একটি করে গোল করেন। মেসি এবং এমবাপের গোলের সংখ্যা বাড়ে। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ ব্যবধানে ফাইনাল জিতে নেন মেসিরা।