স্টেডিয়াম পরিষ্কার করছেন জাপানের সমর্থক। ছবি: টুইটার থেকে
দর্শকরা মাঠে আসেন, প্রিয় দলের হয়ে গলা ফাটান, জয়ের আনন্দ বা হারের দুঃখ নিয়ে বাড়ি চলে যান। এটাই তো কাজ দর্শকদের। কিন্তু জাপানের সমর্থকরা দেখালেন যে, আরও একটা কাজ থেকে যায়। যে মাঠে বসে প্রিয় দলের হয়ে গলা ফাটানো হয়, সেই স্টেডিয়াম পরিষ্কার রাখাও তাঁদেরই দায়িত্ব। জার্মানিকে হারিয়ে সেটাই করে দেখালেন জাপানের সমর্থকরা।
ফুটবল বিশ্বকাপে জাপান যে জার্মানিকে হারিয়ে দেবে তা ভাবতেই পারেনি কেউ। কিন্তু বুধবার সেই অবাক কাণ্ডটাই করে দেখাল জাপান। ২-১ গোলে তারা হারিয়ে দিল জার্মানিকে। খেলা শেষ হতেই যখন সমর্থকরা বাড়ি ফিরে যান, জাপানের সমর্থকরা তখন স্টেডিয়ামে রয়ে গেলেন। দলের জন্য গলা ফাটাতে নয়, তাঁরা থাকলেন স্টেডিয়াম পরিষ্কার করবেন বলে। যদিও এমন কাজ যে জাপান প্রথম করল তা নয়। গত বারের বিশ্বকাপেও এমন কাজ করতে দেখা গিয়েছিল জাপানের সমর্থকদের।
মাঠের মধ্যে ফুটবলাররা জাপানকে যেমন আনন্দ দিলেন, মাঠের বাইরে তেমন সমর্থকরাও কাজের মাধ্যমে নজর কাড়লেন। বুধবার জার্মানির বিরুদ্ধে প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে গিয়েছিল জাপান। প্রথমার্ধ শেষে পিছিয়েই ছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রিতসু দিয়ান এবং তাকুমা আসানোর গোলে এগিয়ে যায় জাপান। এর আগে দু’বার জার্মানির বিরুদ্ধে খেলেছিল তারা। জিততে পারেনি। প্রথম বার জার্মানিকে হারাল জাপান।
Japan's fans are truly the best.
— Ben Jacobs (@JacobsBen) November 23, 2022
They beat Germany in a famous win, but before celebrating stuck around at the Khalifa International Stadium to help clean up.👏 pic.twitter.com/sZhNExEDqi
জার্মানি যদিও বড় প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে হারাটা নিয়ম করে ফেলেছে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে হেরেছিল তারা। ২০২০ সালের ইউরো কাপে প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হেরেছিল জার্মানি। এ বার হারল জাপানের কাছে। জার্মানির কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, “কোনও পয়েন্ট না পেয়ে আমরা যে চাপে আছি তা বলাই যায়। নিজেদের দোষ দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই আমাদের। আমরা খুবই হতাশ। প্রথমার্ধে আমরা ঠিকই খেলছিলাম। ৭৮ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল আমাদের। ১-০ গোলে এগিয়েও ছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বেশ কিছু ভাল সুযোগও পেলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারলাম না। জাপান খুব ভাল খেলেছে। আমরা এমন কিছু ভুল করেছি যা বিশ্বকাপে করা উচিত নয়। আমাদের উন্নতি করতে হবে।”