তৃতীয় বারের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। মাঠেই সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস মেসির। ছবি: রয়টার্স
তৃতীয় বারের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ জেতায় বিপুল পরিমাণ পুরস্কারমূল্য জিতেছেন লিয়োনেল মেসিরা। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও ফ্রান্সের ঘরে ঢুকেছে বড় অঙ্কের পুরস্কারমূল্য। কোন দল কত টাকা পেল, দেখে নেওয়া যাক।
এ বারের বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে ৪৪ কোটি ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৫৭৩ কোটি টাকা পুরস্কারমূল্য দিয়েছে ফিফা। গত বারের থেকে ৪ কোটি ডলার বেশি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ৩৫ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার পুরস্কারমূল্য ছিল। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি দেশই কিছু না কিছু অর্থ পেয়েছে। ফাইনালের দিকে যে দল যত এগিয়েছে তত তাদের পুরস্কারমূল্য বেড়েছে।
বিশ্বকাপ জিতে মেসিরা পেয়েছেন ৪ কোটি ২০ লক্ষ ডলার বা ৩৪৪ কোটি টাকা। অন্য দিকে রানার্স অর্থাৎ, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দল হিসাবে ফ্রান্স পেয়েছে ৩ কোটি ডলার বা ২৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ফ্রান্সের থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেশি পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
এ বারের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানে শেষ করেছে ক্রোয়েশিয়া। সেই সুবাদে পুরস্কারমূল্য হিসাবে লুকা মদ্রিচরা পেয়েছেন ২ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার বা ২২০ কোটি টাকা। এ বারের বিশ্বকাপের চমক মরক্কো। চতুর্থ স্থানে শেষ করেছে তারা। মরক্কো পেয়েছে আড়াই কোটি ডলার বা ২০৪ কোটি টাকা।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি নেদারল্যান্ডস, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড ও পর্তুগাল। তারা প্রত্যেকে ১ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার বা ১৩৮ কোটি টাকা করে পেয়েছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে পরের ধাপে যেতে পারেনি আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, পোল্যান্ড, সেনেগাল, স্পেন ও সুইৎজ়ারল্যান্ড। এই ৮টি দেশ ১ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার বা ১০৬ কোটি টাকা করে পেয়েছে।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া দেশগুলিও পুরস্কারমূল্য পেয়েছে। গ্রুপ থেকে বিদায় নেওয়া ১৬টি দেশ ৯০ লক্ষ ডলার বা ৭৪ কোটি টাকা করে পেয়েছে।
২০১৮ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স পেয়েছিল ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার ঘরে ঢোকে ২ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। ২০০৬ বিশ্বকাপের আগে ট্রফিজয়ী দল কখনওই ১ কোটি ডলারের বেশি পায়নি। প্রায় প্রতি বছরই ফিফা পুরস্কারমূল্য বাড়িয়েছে। ১৯৮২ সালে যেখানে ফিফার মোট পুরস্কারমূল্য ছিল ২.২ মিলিয়ন ডলার বা ১৭.৯৭ কোটি টাকা, তাই ৩০ বছরে বেড়ে গিয়েছে কয়েকশো গুণ।