চোটের কারণে সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার মুখে নেমার। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল ব্রাজিল। চোটের কারণে গ্রুপের বাকি দু’টি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন নেমার। ‘বিবিসি’ ছাড়াও ইংল্যান্ড এবং স্পেনের একাধিক সংবাদমাধ্যম এই খবর জানিয়েছে। সরাসরি না বলেও ব্রাজিল দলের ডাক্তার বুঝিয়ে দিয়েছেন, নেমারের চোট দ্রুত সারবে না। তবে নকআউট রাউন্ড থেকে নেমারকে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
বিবিসি-র খবর অনুযায়ী, গ্রুপের বাকি দু’টি ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেমার। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, তিনি শুধু পরের ম্যাচে নেই। তবে বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমেরই খবর, নেমারের গ্রুপ পর্বে আর খেলতে পারবেন না। ব্রাজিল দলের ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার শুক্রবার বলেছেন, “শুক্রবার দুপুরে নেমার এবং দানিলোর এমআরআই করা হয়েছে। দু’জনেরই লিগামেন্টে চোট রয়েছে। আপাতত মাথা ঠান্ডা রেখে প্রতি দিন ওদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। বাকি প্রতিযোগিতায় যাতে ওরা খেলতে পারে, তার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।”
ব্রাজিল যদি প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে, তা হলে নেমার খেলতে পারেন। তত দিনে তাঁর চোট অনেকটাই ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ডাক্তাররা। নেমার যে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গিয়েছেন, এখনই এ কথা বলা হচ্ছে না। নেমারের ছিটকে যাওয়া ব্রাজিলের কাছে বড় ধাক্কা। কারণ, সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমার যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিলেন। একটি গোলের ক্ষেত্রে তাঁর পাস রয়েছে।
সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পেয়ে ৮০ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়েন নেমার। বেঞ্চে বসে পায়ে বরফ দিতে দেখা যায় তাঁকে। সার্বিয়ার নিকোলা মিলেনকোভিচ ট্যাকল করেন নেমারকে। গোড়ালিতে চোট পান নেমার। পা ধরে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় ব্রাজিলের অধিনায়ককে। বেঞ্চে বসে মুখ ঢেকে কাঁদতেও দেখা যায় নেমারকে। কোচ তিতে বলেন, “নেমারের পরের ম্যাচে খেলার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে ওকে।” নেমার যে চোট পেয়েছেন তা প্রথমে বুঝতেই পারেননি তিতে। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারিনি যে নেমারের চোট লেগেছে। ওর ক্ষমতা আছে এই চোট সারিয়ে ফেরার।” যদিও শুক্রবার ব্রাজিলের ডাক্তার খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন।
বৃহস্পতিবার নেমার ভাল খেললেও ব্রাজিল সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন রিচার্লিসন। তিনি বিশ্বকাপ শুরু করলেন দু’টি গোল দিয়ে। তার মধ্যে একটি গোল করলেন বাইসাকেল কিকে। রিচার্লিসন মুগ্ধ করে দিলেন ফুটবলপ্রেমীদের। তাঁর দ্বিতীয় গোল বুঝিয়ে দিল এই ব্রাজিল কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। নেমার, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াস এবং রাফিনহাকে রেখে তৈরি তিতের আক্রমণভাগ যে পায়ের জঙ্গলের মধ্যে থেকেও ফাঁকা জমি বার করে নিতে পারে তা দেখিয়ে দিল রিচার্লিসনের গোল।