মোদীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ইনফান্তিনো। ফাইল ছবি
ভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) সভাপতি হওয়ার পর দোহা থেকে ফিরেই কল্যাণ চৌবে জানিয়েছিলেন, মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে থাকতে পারেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সোমবার এআইএফএফের কর্মসমিতির বৈঠকের পর জানা গিয়েছে, ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি, ভারতীয় ফুটবলের পরিকাঠামোর উন্নতিতে সাহায্য নেওয়া হবে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারের।
কর্মসমিতির বৈঠকে মহিলাদের ফুটবলের উপর বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছে। কল্যাণ বলেছেন, “ভারতের সর্বত্র ফুটবলের প্রসারে সব রকম ভাবে সাহায্য করবে সরকার। ৩০টি শহরে অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলাদের ফুটবল চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। আশা করি আগামী দিনে আরও অনেক মহিলা ফুটবলার খেলতে এগিয়ে আসবেন। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে কাতারের সাহায্যও নেওয়া হবে।”
পদ্মশ্রীর জন্য বাংলার প্রাক্তন ফুটবলার অরুণ ঘোষের নাম পাঠাবে এআইএফএফ। পাশাপাশি নাম পাঠানো হবে শাব্বির আলি এবং আইএম বিজয়নের। মেজর ধ্যানচাঁদ পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করা হবে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের। অর্জুন পুরস্কারের জন্য জেজে লালপেখলুয়ার নাম পাঠানো হবে।
সোমবার বৈঠকে টেকনিক্যাল কমিটির সব প্রস্তাবই মেনে নেওয়া হয়েছে। ইগর স্তিমাচকে ২০২৩-এর এশিয়ান কাপ পর্যন্ত কোচ রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত যদি সেই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে, তা হলে স্তিমাচের মেয়াদ আরও বাড়বে। ইন্ডিয়ান অ্যারোজ প্রকল্প গুটিয়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিভাবান ফুটবলার তুলে আনার জন্য দেশব্যপী স্কাউটিং করা হবে। আগামী নভেম্বরে ভারতে হওয়ার কথা মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ প্রতিযোগিতা। তা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হবে। তবে কারণ জানানো হয়নি।
বৈঠকে টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান আইএম বিজয়ন প্রস্তাব দেন একটি প্রাতিষ্ঠানিক লিগ চালু করার। ক্লাব ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে ভাবে ভারতকে প্রচুর ফুটবলার উপহার দিয়েছে, তা ভেবেই এই প্রস্তাব। কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এই নিয়ে ভেবে দেখা হবে।