AIFF

AIFF: কী ভাবে চলছে এআইএফএফ, খতিয়ে দেখতে আসছে ফিফা-এএফসির যৌথ প্রতিনিধি দল

গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত রাজ্য কমিটিগুলিকে এড়িয়ে সর্বভারতীয় সংস্থা যাতে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় রাজ্যগুলি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২২ ১৭:০৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কেমন পরিস্থিতিতে রয়েছে ভারতীয় ফুটবল। বলা ভাল, ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসছে ফিফা এবং এএফসি-র যৌথ প্রতিনিধি দল।

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিদিনের কাজ দেখভালের জন্য প্রশাসকমণ্ডলী তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কী ভাবে চলছে ভারতীয় ফুটবলের কর্মকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখতে জুন মাসে ভারতে আসবে ফিফা এবং এএফসি-র যৌথ প্রতিনিধি দল।

Advertisement

এআইএফএফ-র এক কর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করছি বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বাহ্যিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে আমাদের নির্বাসিত হতে হবে না। যদিও ওঁরা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং কাজকর্ম কী ভাবে চলছে সে সব খতিয়ে দেখবেন।’’ কারণ, কোনও দেশের ফুটবল সংস্থার উপর রাজনৈতিক বা সরকারি নিয়ন্ত্রণ বা হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করে না ফিফা।

দিল্লি ফুটবল ক্লাব শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করে, এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রফুল্ল পটেল এআইএফএফ-র শীর্ষ পদ আঁকড়ে রয়েছেন। সেই অভিযোগের সঙ্গে সহমত সুপ্রিম কোর্টও। এর পর গত ১৮ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ আর ডাভের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করেছে সংস্থার কাজ পরিচালনার জন্য। জাতীয় ক্রীড়া নীতি এবং আদর্শ নির্দেশিকা মেনে সংস্থার নতুন সংবিধান কার্যকর করারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, গত শনিবারই এআইএফএফ অনুমোদিত ২৫টি রাজ্য সংস্থা একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। সেখানে ফেডারেশনের বর্তমান সঙ্কট এবং দেশে ফুটবলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। দু’ঘণ্টার বৈঠকে তারা কয়েকটি প্রস্তাবও গ্রহণ করেছে।

শীর্ষ আদালত নিযুক্ত প্রশাসকমণ্ডলী নতুন সংবিধানের যে খসড়া তৈরি করেছে, তাতে কিছু পরিবর্তনের ব্যাপারে যৌথ ভাবে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে সহমত হয়েছে রাজ্য সংস্থাগুলি। এর জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি তৈরির কথাও বলা হয়েছে। যে কমিটি প্রস্তাবিত সংবিধানের সমস্ত বিষয়গুলি বিস্তারিত ভাবে খতিয়ে দেখবে। সেই কমিটিতে রয়েছেন বাংলার সুব্রত দত্ত, দিল্লির শাজি প্রভাকরণ, কর্নাটকের কে সত্যনারায়ণ, পঞ্জাবের বিজয় বালি, ওড়িশার অভিজিৎ পাল, গুজরাতের মূলরাজসিংহ চুদাসামা এবং মিজোরামের লালঘিংলোভা হমার। ভারতীয় ফুটবলকে আবার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সংস্থাগুলি এক যোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement