সফল: মহেশের জোড়া গোলেও এল না জয়। বৃহস্পতিবার। টুইটার।
আইএসএল থেকে সুপার কাপ। ওড়িশা এফসির পরে এ বার হায়দরাবাদ এফসি— এগিয়ে থেকেও জয় হাতছাড়া করার রোগ সারল না ইস্টবেঙ্গলের। বৃহস্পতিবার কেরলের মঞ্জেরিতে নিজ়ামের শহরের দলের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করায় শেষ চারে ওঠার আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল ক্লেটন সিলভাদের।
বৃহস্পতিবার বিকেলের ম্যাচে আইজ়ল এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবলের শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে ওড়িশা। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হায়দরাবাদের সংগ্রহেও চার পয়েন্ট। কিন্তু গোল পার্থক্যে পিছিয়ে রয়েছে তারা। দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ইস্টবেঙ্গল। যদিও অঙ্কের বিচারে শেষ চারে ওঠার আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি ক্লেটনদের। হায়দরাবাদ বনাম ওড়িশা ম্যাচ যদি ড্র হয়, আর ইস্টবেঙ্গল শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারায় আইজ়লকে, তিনটি দলের পাঁচ পয়েন্ট হবে। সে ক্ষেত্রে দেখা হবে গোল পার্থক্য।
শেষ চারে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। মরণ-বাঁচন ম্যাচে প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন করেছিলেন কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। কারালাম্বুস কিরিয়াকুর পরিবর্তে সুহের ভি পি-কে শুরু থেকে খেলাতেই বদলে যায় ছবিটা। চার মিনিটের মধ্যেই ক্লেটন সিলভার অসাধারণ পাস থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন মহেশ সিংহ। ১১ মিনিটে লাল-হলুদের রক্ষণের ভুলে হোলিচরণ নার্জ়ারির সেন্টারে মাথা ছুইয়ে ১-১ করে দেন সিভেরিয়ো। ছয় মিনিটের মধ্যে ফের এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নেপথ্যে কেরলের ভূমিপুত্র সুহের। জাক জার্ভিসের শট হায়দরাবাদের গোলরক্ষক গুরমিত সিংহ কোনও মতে বাঁচান। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন সুহের। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে ফের ক্লেটনের পাস থেকেই মহেশ ৩-১ করায় উল্লসিত হয়ে উঠেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। তাঁরা অনেকেই ভাবতে পারেননি দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয় ভাবে বদলে যাবে প্রেক্ষাপট। স্টিভনের ভুল সিদ্ধান্তে ইস্টবেঙ্গল ফিরবে ইস্টবেঙ্গলেই!
৬৭ মিনিটে স্ট্রাইকার জার্ভিসকে তুলে জর্ডান ও’ডোহার্টিকে নামাতে দেখেই মোক্ষম চাল দেন হায়দরাবাদের স্পেনীয় কোচ মানুয়েল মার্কুয়েস। ক্লান্ত জোয়েল চিয়ানসে ও রোহিত দানুকে তুলে তিনি নামান মহম্মহ ইয়াসির ও বোরখা এরেরাকে। চার মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান কমায় হায়দরাবাদ। বোরখার জোরালো শট কোনও মতে বাঁচান লাল-হলুদের গোলরক্ষক কমলজিৎ সিংহ। বেরিয়ে আসা বল গোলে জালে জড়িয়ে দেন সিভেরিয়ো। ৮২ মিনিটে ফের ধাক্কা। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারদের ভুলে ৩-৩ করেন আব্দুল রাবেয়া। সংযুক্ত সময়ে বেশ কয়েকটি গোল করার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি ক্লেটন, মহেশরা।
৩-১ এগিয়ে গিয়েও জয় হাতছাড়া করার কারণ কী? ম্যাচের পরে স্টিভনের ব্যাখ্যা, ‘‘৩-১ গোলে এগিয়ে থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের ভুলের মূল্য দিতে হয়েছে।’’