East Bengal Vs Mohun Bagan

রবিবার ডুরান্ড ফাইনালে টিকিটের হাহাকার, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে, টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ

১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ফাইনালের টিকিট পুরোটাই বিক্রি হয়েছে দুই ক্লাব এবং যুবভারতী থেকে। অনেকের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় লাইনে দিয়েও টিকিট পাননি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৪৩
ডুরান্ডের টিকিটের জন্য জমা জলেই লম্বা লাইন সমর্থকদের।

ডুরান্ডের টিকিটের জন্য জমা জলেই লম্বা লাইন সমর্থকদের। ছবি: সংগৃহীত।

রবিবার ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি। ময়দানে টিকিট নিয়ে হাহাকার। বৃহস্পতিবার মোহনবাগান জেতার পর থেকেই সমর্থকদের মধ্যে টিকিট কাটা নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়। বহু দিন পরে ডার্বির টিকিট নিয়ে এই উন্মাদনা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ভোর এবং শুক্রবার সকাল থেকেই দুই ক্লাবের সামনে সমর্থকদের লাইন পড়ে যায়। বৃষ্টির মধ্যে জলে দাঁড়িয়েও তাঁরা টিকিটের অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু সবাই টিকিট পাননি বলেই জানা গিয়েছে। ডুরান্ডে অনলাইনে কোনও টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। পুরোটাই অফলাইনে। ঠিক কত টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়েছে, তা ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ বলতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, এটা দুই ক্লাব জানে। তবে গত বার যা টিকিট দেওয়া হয়েছিল, এ বার তার থেকে সামান্য বেশি টিকিট দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, দুই ক্লাব বিক্রির জন্য মোটামুটি ২০ থেকে ২৫ হাজার টিকিট পেয়েছে। সেই সব টিকিট প্রথম দিন বিক্রি হয়ে গেছে বলে দুই ক্লাবের দাবি। সমাজমাধ্যমে ‘সোল্ড আউট’ বলে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

তবে বিভিন্ন সূত্রের দাবি, এখনও কিছু টিকিট পড়ে রয়েছে। সেই টিকিট বিক্ষিপ্ত ভাবে ছাড়া হতে পারে। গত বারের ফাইনালে মহমেডান ওঠার পরেও এ রকম উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল। সে বারও প্রথম দিনের পর টিকিট সোল্ড আউট জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে আবার ঘোষণা করা হয় কিছু টিকিট ছাড়া হবে। এ বারও তেমন করা হতে পারে।

কিন্তু মানুষের ক্ষোভ তাতে মিটছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েও তারা অনেকেই টিকিট পাননি। স্বাভাবিক ভাবেই বৃহস্পতিবার থেকে সমাজমাধ্যম উত্তাল। দুই ক্লাবেরই এক অবস্থা। সমর্থকদের দাবি, দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর বলা হচ্ছে টিকিট নেই। যে পরিমাণ টিকিট ছাড়া হয়েছে, তা মোটেই কম নয়। সব টিকিট কোথায় গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এই নিয়ে দুই ক্লাবেরই বক্তব্য, এ বার ডার্বির যা উন্মাদনা, তাতে টিকিট যে পড়ে থাকবে না, সেটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘ লাইন থাকবে, টিকিট ছাড়া মাত্রই সব বিক্রি হয়ে যাবে— এটাই তো প্রত্যাশিত।

বিশেষ করে আগের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল জেতার পরে উন্মাদনা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। দীর্ঘ ১৯ বছর বাদে ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি। এত দিন এই ম্যাচে মোহনবাগানের আধিপত্য ছিল। ফলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে আগ্রহ কমে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন কোচের অধীনে ইস্টবেঙ্গল যথেষ্টই ভাল খেলছে। ডুরান্ডের গ্রুপ লিগের ম্যাচেও জয় পেয়েছে লাল-হলুদ শিবির। ফলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে আশা জেগেছে। সেই কারণেই দুই প্রধানই টিকিট নিয়ে আগে থেকেও বেশি আগ্রহী বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

তবে সমর্থকদের অভিযোগ, বাকি সব খেলাধুলায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি হলেও এখানে কেন অফলাইনে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement