Kanika Barman

নারী দিবসেই স্বপ্নপূরণ বাংলার রেফারি কণিকার

নতুন জীবনের শুরুতেও নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন কণিকা। শিকার হয়েছেন কটাক্ষেরও। তবুও লড়াই ছাড়েননি বঙ্গ কন্যা।

Advertisement
শুভজিৎ মজুমদার
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:৩২
Kanika Barman

প্রাপ্তি: এএফসি কাপে ম্যাচ খেলালেন কণিকা। ফাইল চিত্র।

নারী দিবসেই স্বপ্নপূরণ বাংলার রেফারি কণিকা বর্মণের। বুধবার তাইল্যান্ডের বুরিরামে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২০ এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে চিনা তাইপে বনাম তাজিকিস্তান ম্যাচ পরিচালনা করলেন তিনি।

শিলিগুড়ির শালুগাড়ার কণিকার শৈশবে খেলাধুলোর প্রতি কোনও আগ্রহই ছিল না। মাঠে যেতে চাইতেন না বলে বাবার কাছে মারও খেয়েছেন প্রচুর। ১৬ বছর বয়সে অ্যাথলেটিক্স ছেড়ে ফুটবলে চলে আসেন। খেলতেন স্ট্রাইকার হিসেবে। স্বপ্ন দেখতেন ভারত ও বাংলার হয়ে খেলার। শিলিগুড়ি ছেড়ে কলকাতায় চলে এসেছিলেন ফুটবলের টানেই। খেলতেন পুলিশ দলের হয়ে।

Advertisement

অথচ ফুটবল ছেড়ে কণিকা রেফারি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উপেক্ষার যন্ত্রণা থেকে। ভাল খেলা সত্ত্বেও বাংলা দলের ট্রায়ালে ডাক না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। প্রাক্তন রেফারি ও বর্তমানে কলকাতা রেফারি সংস্থার সচিব উদয়ন হালদারের উৎসাহে শুরু করেন রেফারিং। অল্প দিনের মধ্যেই নজর কেড়ে নেন।

নতুন জীবনের শুরুতেও নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন কণিকা। শিকার হয়েছেন কটাক্ষেরও। তবুও লড়াই ছাড়েননি বঙ্গ কন্যা। বাঁশি মুখে যে ভাবে কড়া হাতে ম্যাচ পরিচালনা করেন, সে ভাবে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছেন।

বছর তিনেক আগেই ফিফা রেফারি হয়েছেন। গত বছর এএফসি ‘এলিট প্যানেল’-এ নির্বাচিত হন তিনি। তার পর থেকেই অপেক্ষা শুরু হয় কণিকার। যে স্বপ্ন আজ পূর্ণ হল।

আরও পড়ুন
Advertisement