গোল করার পরে উল্লাস ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের। ছবি: রয়টার্স।
১২ জুন, ২০২১। ঠিক ৩ বছর ৪ দিন আগে ইউরো কাপে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের শেষ দিকে মাঠেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ডেনমার্কের ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। প্রাণ সংশয় হয়েছিল তাঁর। আর কোনও দিন তিনি মাঠে নামতে পারবেন কি না তাই নিশ্চিত ছিল না। সেই এরিকসেন আবার দেশের জার্সিতে ইউরো খেলতে নামলেন। শুধু নামলেন না, চলতি প্রতিযোগিতায় দলের হয়ে প্রথম গোলও করলেন। তার পরেও ম্যাচ জিততে পারল না ডেনমার্ক। স্লোভেনিয়ার সঙ্গে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে। চলতি ইউরো কাপে পাঁচ ম্যাচ পরে প্রথম ড্র হল।
খেলার শুরু থেকেই দাপট ছিল ডেনমার্কের। খাতায় কলমে অনেক শক্তিশালী দল তারা। সেটা বোঝাও যাচ্ছিল। এরিকসেনের নেতৃত্বে স্লোভেনিয়াকে চেপে ধরেছিল ডেনমার্ক। ক্রিশ্চেনসেন, হয়বিয়ার, বাহ্রা একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছিলেন। এই ম্যাচে এরিকসেনের কোনও নির্দিষ্ট পজিশন ছিল না। গোটা মাঠ জুড়ে খেলছিলেন তিনি। কখনও মাঝমাঠে নেমে আক্রমণে তৈরি করছিলেন। কখনও প্রান্ত ধরে উঠছিলেন। আবার কখনও ফরোয়ার্ডের কাজ করছিলেন। সেই কারণে তাঁকে আটকাতে সমস্যা হচ্ছিল প্রতিপক্ষের।
লাগাতার চাপ রাখার ফল পায় ডেনমার্ক। ১৭ মিনিটের মাথায় ইউন্ডের পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন এরিকসেন। এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও দাপট দেখায় তারা। স্লোভেনিয়ার গোলে ওবলাক না থাকলে সমস্যায় পড়ত তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে ছবিটা একটু বদলায়। কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে স্লোভেনিয়া। বলের দখল বেশি রাখতে শুরু করে তারা। কয়েকটি সুযোগও পায় স্লোভেনিয়া। কিন্তু ডেনমার্কের গোলে ক্যাসপার স্কিমিশেল থাকায় বল জালে জড়়াতে পারছিল না তারা।
৭৭ মিনিটে ভাগ্য সহায় হয় স্লোভেনিয়ার। বক্সের বাইরে থেকে এরিক ইয়ানজ়ার জোরালো শট ডেনমার্কের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে দিক বদলে গোলে ঢুকে যায়। কিছু করার ছিল না স্কিমিশেলের। সমতা ফেরানোর পরে আক্রমণে আরও ঝাঁঝ বাড়ায় স্লোভেনিয়া। এগিয়ে যাওয়ারও সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি স্লোভেনিয়া। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে শেষ হয় খেলা।