Churchill Alemao

AIFF: প্রথম বার ভারতীয় ফুটবলে শীর্ষ পদের দৌড়ে এক মহিলা, লড়াই ভাইচুং-কল্যাণের সঙ্গে

আগে কোনও দিন কোনও মহিলাকে ভারতীয় ফুটবলে সভাপতির পদে লড়তে দেখা যায়নি। সেই প্রথা ভাঙলেন ভালাঙ্কা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২২ ১৫:৫৯
এআইএফএফের সভাপতি পদে লড়ছেন ভালাঙ্কা।

এআইএফএফের সভাপতি পদে লড়ছেন ভালাঙ্কা। ফাইল ছবি

সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) ৮৫ বছরের ইতিহাসে এত দিন কোনও মহিলা প্রার্থীকে সভাপতি পদে লড়তে দেখা যায়নি। এমনকি, শেষ বার কোনও মহিলা নির্বাচনে লড়েছেন কি না, সেটাও অনেকে মনে করতে পারছেন না। এ বার শুধু সভাপতি পদেই নয়, তিন-তিনটি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ভালাঙ্কা আলেমাও। তিনি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চার্চিল আলেমাওয়ের মেয়ে। সম্প্রতি গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে ভালাঙ্কা এবং চার্চিল দু’জনেই তৃণমূলের টিকিটে লড়েছেন। গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্স দলের মালিক ভালাঙ্কা।

ফেডারেশনের নির্বাচনে কঠিন লড়াই ভালাঙ্কার। সভাপতি পদে ভাইচুং ভুটিয়া এবং কল্যাণ চৌবের মতো প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে তাঁকে। আশা হারাচ্ছেন না তিনি। বলেছেন, “গোয়ায় চার্চিল ব্রাদার্সের প্রতি মানুষের ভালবাসা প্রচণ্ড। সবার সমর্থন পেয়ে আমি আপ্লুত। আমি একমাত্র মহিলা প্রশাসক, এটা দেখেই সবাই আমার সমর্থনে এগিয়ে এসেছে।”

Advertisement

শুক্রবার সভাপতি পদে নিজের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ভালাঙ্কা। এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ এবং কর্মসমিতির পদের জন্যেও লড়তে চলেছেন। ভারতীয় মহিলা দলের প্রাক্তন সহ-অধিনায়ক মধু কুমারি কর্মসমিতির সদস্য হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

ভালাঙ্কার মনোনয়ন জমা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। গোয়া ফুটবল সংস্থার কর্মসমিতির দশ সদস্য অভিযোগ করেন, তাঁদের অনুমতি না নিয়েই ভালাঙ্কার নাম সভাপতি পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার উমেশ সিন‌্হা জানিয়েছেন, নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রে সভাপতির অনুমোদনই যথেষ্ট। ভালাঙ্কা বলেছেন, “আমি আইনসম্মত ভাবে এখানে এসেছি। বিভিন্ন রাজ্য আমাকে সমর্থন করছে।” প্রসঙ্গত, তাঁর মনোনয়নের প্রস্তাব দিয়েছে সিকিম ফুটবল সংস্থা। সমর্থন করেছে দমন এবং দিউ। বাকি পদগুলির জন্য কর্নাটক, ছত্তীসগঢ় এবং হিমাচল প্রদেশের সমর্থন রয়েছে।

ভারতীয় ফুটবল এবং গোয়ার রাজনীতিতে চার্চিলের গুরুত্ব কতটা সেটা নতুন করে বলার দরকার নেই। দীর্ঘ দিন ধরে সফল ভাবে চার্চিল ব্রাদার্স দলকে চালিয়েছেন তিনি। সেই দলের ভার এখন মেয়ে ভালাঙ্কার হাতে। আই লিগে খেলে তারা। দু’বার ট্রফিও জিতেছেন। এ ছাড়া ঘরোয়া ফুটবলে একাধিক ট্রফি রয়েছে তাদের ক্যাবিনেটে। দীর্ঘ দিন ধরেই চার্চিল ব্রাদার্স দলের সঙ্গে রয়েছেন ভালাঙ্কা। ম্যাচের দিন জার্সি পরে নিয়মিত সমর্থন করতে দেখা যায় তাঁকে।

পাশাপাশি রাজনীতিতেও তিনি সক্রিয়। চার্চিল নিজে দীর্ঘ দিন এনসিপি-র সদস্য ছিলেন। গত বছরের শেষের দিকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। মার্চে গোয়ার বিধানসভা ভোটে চার্চিল এবং ভালাঙ্কা দু’জনেই লড়েন এবং হারেন। তাঁরা দু’জনে যে আসনে লড়েন, সেই বেনোলিম এবং নভেলিমেই এক মাত্র তৃণমূলের জেতার সম্ভাবনা ছিল। ভোটের ফল বেরোতেই সে আশা মিলিয়ে যায়।

ক্লাবের ফুটবলে জড়িত থাকার পর এ বার ভারতীয় ফুটবলেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন ভালাঙ্কা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, সীমানা পেরিয়ে সবাইকে একত্রিত করার ক্ষমতা এক মাত্র খেলাধুলোরই রয়েছে। খেলার প্রতি আমার ভালবাসা সবার উপরে।”

আরও পড়ুন
Advertisement