ISL 2023-24 Derby

‘ডার্বি আমরাই জিতব’, বড় ম্যাচের ১২ দিন আগে বলে দিলেন লাল-হলুদ কোচ

এখনও প্রথম ছয় পাকা হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। চেন্নাইয়িন এফসিকে হারানোর পরে সামনে শীর্ষে থাকা দল ওড়িশা। যদিও এখন থেকেই ডার্বির পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৯
football

কার্লেস কুয়াদ্রাত। —ফাইল চিত্র।

আইএসএলের প্রথম ছয় দলের মধ্যে থাকাটাই প্রথম লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। আর তার জন্য পরের ম্যাচ থেকে পয়েন্ট চায় দলের। সোমবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসিকে হারানোর পরে বৃহস্পতিবার সামনে ওড়িশা এফসি। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে কুয়াদ্রাতের নজর ১০ মার্চের দিকে। সে দিন আইএসএলের ফিরতি ডার্বি। সেই ম্যাচে তাঁরা জিতবেন বলে এখন থেকেই হাওয়া গরম করতে শুরু করে দিলেন লাল-হলুদ কোচ।

Advertisement

চেন্নাইয়িনকে হারিয়ে ডার্বি নিয়ে মুখ খুলেছেন কুয়াদ্রাত। আইএসএলের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “লিগে বিভিন্ন ম্যাচে আমরা কখনও দু’জন, কখনও তিন জন বিদেশি নিয়ে খেলেছি। সেই জায়গায় সুপার কাপে আমরা ছ’জন বিদেশি নিয়ে খেলতে পেরেছি। কয়েক জন খেলোয়াড় জাতীয় দলেও ছিল। এখন আমাদের পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। তবে ক্রমশ ছন্দে ফিরছি আমরা। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফিরতি ডার্বিতে আমরাই জিতব। অন্য ম্যাচগুলোতেও আমাদের ভাল করা উচিত।”

ডার্বির আগে কঠিন প্রতিপক্ষ ওড়িশা। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে নামতে হবে তাদের। তাই লড়াই কঠিন হবে। কুয়াদ্রাত বলেন, “পরের ম্যাচ আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন হবে। ওরা লিগ টেবলে এক নম্বরে রয়েছে। তিন দিন পরেই এই ম্যাচটা খেলতে হবে আমাদের। খুবই কঠিন হতে চলেছে ম্যাচটা।”

মরসুমের মাঝে বেশ কয়েক জন ফুটবলার বদল হয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। দু’জন অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। এক জন চোটে ছিটকে গিয়েছেন। তাঁদের পরিবর্ত ফুটবলারও নেওয়া হয়েছে। তাই দলের গোছাতে একটু সমস্যা হচ্ছে। কুয়াদ্রাত বলেন, “আমরা একটা দু’বছরের প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। বোরহা ও সিভেরিও যখন আমাদের দলে ছিল, তখন ফাইনাল থার্ডে ওরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। ওদের জায়গায় যারা এসেছে, তাদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার এটা বড় সুযোগ। গোলের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে ভাসকুয়েসের পরিসংখ্যান খুবই ভাল। সেটপিসেও ও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ম্যাচেও গোলের সময় নন্দ ওর কাছ থেকেই বল পেয়েছে। ফেলিসিয়োও চেষ্টা করছে ছন্দে ফিরে দলকে সাহায্য করতে। পান্টিচ নতুন। পুরোটা বুঝতে একটু সময় নিচ্ছে। দলের ছেলেরা সবাই যে রকম পরিশ্রম করছে, যে ভাবে চেষ্টা করছে, তাতে আমি খুশি।”

চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে যে প্রথমার্ধে তাঁরা ভাল খেলতে পারেননি তা স্বীকার করে নিয়েছেন কুয়াদ্রাত। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যে ভাবে দল ফিরেছে তাতে খুশি তিনি। ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, “আমরা প্রথমার্ধে খুবই খারাপ খেলেছি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভাল খেলেছি। প্রথমার্ধে চেন্নাইয়িনের গোল পাওয়া উচিত ছিল। ওরা যথেষ্ট ভাল দল। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের পরিবর্ত খেলোয়াড় আনতে হয় নতুন করে শক্তি বাড়ানোর জন্য। এটাই আমাদের কাজ। দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। কারণ, ম্যাচের শেষে ফলই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দলের লড়াকু মানসিকতাও আজ দলকে জিততে সাহায্য করেছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement