Mohun Bagan

আইএসএলের লিগ-শিল্ড জিতে মোহনবাগান অধিনায়কের মুখে ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানের নাম

চলতি বছর আইএসএলের লিগ-শিল্ড জিতেছে মোহনবাগান। ভারতসেরা হওয়ার পরে সবুজ-মেরুন অধিনায়ক শুভাশিস বসুর মুখে দুই পড়শি ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানের নাম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৪৮
football

আইএসএলের লিগ-শিল্ড জিতে মোহনবাগান সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: এক্স।

ঘরের মাঠে আইএসএলের লিগ-শিল্ড জেতার পরে দুই পড়শি ক্লাবের নাম টেনে আনলেন মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। শুধু নিজেদের ক্লাব নয়, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানের সাফল্যও তুলে ধরলেন তিনি। জানালেন, এই বছর বাংলার ফুটবলের সোনার সময়। চারটে ট্রফিই বাংলায় এসেছে। বাকি আর একটি ট্রফি। সেটাও জিততে চান তাঁরা।

Advertisement

সোমবার মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে আইএসএলের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভাশিস বলেন, “এ মরসুমে আমরা ডুরান্ড কাপ জিতেছি। এ বার লিগ-শিল্ড জিতলাম। ইস্টবেঙ্গল সুপার কাপ জিতেছে। মহমে়ডান জিতেছে আই লিগ। অর্থাৎ, বাংলাতে এ বছর সব ট্রফিই এসেছে। বাংলার ফুটবলে এটা সোনার সময়। আশা করি এখান থেকে বাংলার ফুটবলের আরও উন্নতি হবে। সে জন্য আমি খুবই খুশি।”

লিগ-শিল্ড জিততে হলে মুম্বইকে হারানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না মোহনবাগানের। তাই কি চাপ বেশি ছিল তাঁদের উপর? জবাবে শুভাশিস বলেন, ‘‘আমাদের মাথায় একটাই জিনিস ছিল, যে কোনও ভাবে জিততেই হবে। আগে কী হয়েছে, তা নিয়ে ভাবিনি। কারণ, অতীতকে বদলানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। কিন্তু বর্তমানকে তো বদলানো যায়। তাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতানোর কথা মাথায় রেখেই মাঠে নেমেছি।”

ঘরের মাঠে ৫০ হাজার দর্শকের সামনে খেলার চাপ সামলাতে পেরেছে মোহনবাগান। শুভাশিস জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতিটি ম্যাচকে ফাইনাল ধরে খেলেছেন। বাগান অধিনায়ক বলেন, “ডুরান্ড কাপের শেষ দিকে যেমন আমাদের পরিস্থিতি ছিল যে, নক আউটের প্রতি ম্যাচ জিততে হবে, আইএসএলে চেন্নাইনের বিরুদ্ধে হারার পরও সেই একই পরিস্থিতিতে পড়ি আমরা। প্রতি ম্যাচকেই নক আউটের মতো নিয়েছিলাম। সে রকম মানসিকতা নিয়েই প্রতি ম্যাচে আমরা মাঠে নামি। সে জন্যই শিল্ড জিততে পেরেছি। আজ আমরা পুরো দল একসঙ্গে খেলেছি, একসঙ্গে ডিফেন্স করেছি, একসঙ্গে আক্রমণেও উঠেছি। সেই জন্যই ম্যাচ জিততে পারলাম।”

মরসুমের মাঝপথে দলের দায়িত্ব নেন আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাস। যোগ দেন জনি কাউকোর মতো ফুটবলার। দলের চেহারাই বদলে দেন হাবাস। তাই তাঁকে এই জয়ের বড় কৃতিত্ব দিচ্ছেন শুভাশিস। তিনি বলেন, “মরসুমে চড়াই-উতরাই থাকেই। আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার মতো অনেকেই আছে। দৃঢ় চরিত্রের খেলোয়াড়ও রয়েছে আমাদের দলে। আমার বিশ্বাস ছিল সবাই মিলে একসঙ্গে ঘুরে দাঁড়াবে। আমি সব সময় দলকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছি। আর এই দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন হাবাস।”

এখনও কাজ শেষ হয়নি। এ বার সামনে সেমিফাইনাল। একই মরসুমে লিগ-শিল্ড ও আইএসএল ট্রফি জেতার সুযোগ রয়েছে মোহনবাগানের সামনে। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুত হবে তারা। শুভাশিস বলেন, “গত আট-ন’মাস ধরে আমরা এই খেতাব পাওয়ার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছি। সে জন্যই এই সাফল্য পেলাম। এখন আমাদের উপভোগ করার, সাফল্য উদ্‌যাপন করার সময়। নক আউটে জেতার জন্যও আমরা উজ্জীবিত। পরের তিনটে ম্যাচে জিতে যদি আমরা কাপ জিততে পারি, তা হলে উজ্জীবিত না হওয়ার কোনও কারণ নেই। এই আনন্দ উদ্‌যাপন করে তরতাজা হয়ে আমরা আবার মাঠে ফিরব এবং ফাইনাল খেলব। যেখানে আমরা নিজেদের উজাড় করে দেব। আরও একটা খেতাব জিততে চাই আমরা।”

আরও পড়ুন
Advertisement