বিশ্বকাপের ট্রফিতে চুমু লিয়োনেল মেসির। —ফাইল চিত্র।
প্রথমে কোপা আমেরিকা। তার পরে ফাইনালিসিমা। সব শেষে ফুটবল বিশ্বকাপ। ফুটবলের শেষ তিনটি ফিফা প্রতিযোগিতা জিতেছে আর্জেন্টিনা। এ বার তাদের চোখ অলিম্পিক্স সোনায়। ব্রাজিলকে হারিয়ে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছে আর্জেন্টিনা। সেই দলে লিয়োনেল মেসিকে খেলার অনুরোধ করেছেন বন্ধু হাভিয়ের মাসচেরানো। তিনি আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচও।
অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বে শুধুমাত্র অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারদের খেলাতে পেরেছিল দলগুলি। কিন্তু অলিম্পিক্সে তিন জন সিনিয়র ফুটবলার খেলানো যাবে। কোচ মাসচেরানো চাইছেন, লিয়োনেল মেসি খেলুন। ২০০৮ সালে অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন মেসি। লিয়োর এক সময়ের সতীর্থ মাসচেরানো বলেন, “সবাই জানে লিয়োর সঙ্গে আমার সম্পর্ক কেমন। ও আমার খুব ভাল বন্ধু। ওর জন্য সব সময় আমাদের দরজা খোলা আছে। আমরা ওকে অনুরোধ করব। খেলবে কি না সেই সিদ্ধান্ত লিয়ো নেবে ওর সিদ্ধান্ত মেনে নেব আমরা।”
যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষ খেলা ছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য শেষ ম্যাচে ড্র করতে হত ব্রাজিলকে। কিন্তু সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায় তারা। লুসিয়ানো গনডৌয়ের করা একমাত্র গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে অলিম্পিক্সে সুযোগ পাওয়া অপর দেশ প্যারাগুয়ে।
নিজের কেরিয়ারে দেশ ও ক্লাবের হয়ে সব মিলিয়ে ৮২১টি গোল করেছেন মেসি। ৩৬১টি অ্যাসিস্ট রয়েছে তাঁর। কেরিয়ারে রেকর্ড সংখ্যক ৪৩টি ট্রফি জিতেছেন মেসি। তার মধ্যে ১০টি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, সাতটি কোপা দেল রে, আটটি স্প্যানিশ সুপার কাপ, তিনটি উয়েফা স্প্যানিশ কাপ, দু’টি লিগ ওয়ান, তিনটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, একটি ফরাসি সুপার কাপ, একটি লিগ কাপ রয়েছে। দেশের হয়ে কোপা আমেরিকা, ফাইনালিসিমা, ফুটবল বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক্স সোনা রয়েছে। সেই তালিকা বাড়াতে মেসি এ বার মাসচেরানোর ডাকে সাড়া দেন কি না সেটাই দেখার।