কল্যাণ চৌবে। —ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-এর সভাপতি হওয়ার পরে একটি নতুন প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন কল্যাণ চৌবে। আই লিগ ৩। এই প্রতিযোগিতা ভারতীয় ফুটবলের ছবিটা বদলে দেবে বলে নিশ্চিত কল্যাণ। তাঁর আশা, এই প্রতিযোগিতার ফলে ভারতের আরও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ফুটবলার উঠে আসবে।
চলতি মরসুম শেষের পথে। গত এক বছরে ভারতীয় ফুটবলের পর্যালোচনা করে কল্যাণ বলেন, “ভারতের মতো বিশাল দেশে ফুটবলের একটা নির্দিষ্ট পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হলে বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ফাঁক ভরাট করতে হত। তারই একটা পথ এই আই লিগ ৩। এতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আরও বেশি ক্লাব মূল পর্বে উঠে আসবে।”
সেই কারণেই আই লিগ ৩ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়েছিল আই লিগ ৩ ভারতীয় ফুটবলের সেই ফাঁক ভরাট করবে। এটা ভারতীয় ফুটবলের ছবিটা বদলের পথে বড় পদক্ষেপ। ভাল করে দেখলে বোঝা যাবে ভারতীয় ফুটবলের পিরামিডে সব থেকে নীচের স্তর এই আই লিগ ৩।”
গত বছর নভেম্বর মাসে শুরু হয়েছে আই লিগ ৩। দু’মাস ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ২৫টি রাজ্যের স্থানীয় লিগের চ্যাম্পিয়ন দল অংশ নিয়েছিল। সেখান থেকে তিনটি দল আই লিগ ২-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সেই দলগুলি হল— স্পোর্টিং ক্লাব দ্য গোয়া, ডেম্পো ও স্পোর্টিং ক্লাব বেঙ্গালুরু।
এই তিনটি দলের মধ্যে স্পোর্টিং ক্লাব বেঙ্গালুরুর উন্নতিতে উচ্ছ্বসিত কল্যাণ। এআইএফএফ-এর সভাপতি বলেন, “স্পোর্টিং ক্লাব বেঙ্গালুরু একটা মরসুমে যা উন্নতি করেছে তা দেখার মতো। ওরা বাকিদের কাছে দৃষ্টান্ত। ওদের দেখে অন্যান্য রাজ্যের ক্লাবগুলোও নিজেদের খেলার মান বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবে।”
২০২২ সালে তৈরি হওয়া স্পোর্টিং ক্লাব বেঙ্গালুরু একটি মরসুমেই বেঙ্গালুরু সুপার ডিভিশন জিতে আই লিগ ৩-এ সুযোগ পেয়েছে। সেই মরসুমেই আই লিগ ৩-এ তৃতীয় স্থানে শেষ করে আই লিগ ২-এ খেলার সুযোগ পেয়েছে। তার পরে আই লিগ ২ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আগামী মরসুমে আই লিগে খেলবে তারা। তাই তাদের দৃষ্টান্ত বলেছেন কল্যাণ।
আগামী মরসুমে স্পোর্টিং ক্লাব বেঙ্গালুরু আই লিগ জিতলে পরের মরসুমেই তারা আইএসএল খেলারও যোগ্যতা অর্জন করবেন। সেটা সম্ভব বলেই মনে করেন কল্যাণ। তিনি বলেন, “আগামী মরসুমে ওদের দিকে সবার নজর থাকবে। হতেই পারে, প্রথম বার আই লিগ খেলা একটা ক্লাব আগামী মরসুমের শেষে আইএসএলের দরজায় কড়া নাড়তে পারে।”