নজরে: তৃতীয় টেস্টে দলে ফিরতে পারেন অ্যান্ডারসন। ফাইল চিত্র
চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় টেস্টে বিপর্যয়ের পরে এ বার আমদাবাদে দিনরাতের টেস্টে প্রত্যাঘাতের চেষ্টায় ইংল্যান্ড। এবং, গোলাপি বলের দ্বৈরথ জিততে জো রুটরা ফিরিয়ে আনতে পারেন তাঁদের সেরা অস্ত্র জিমি অ্যান্ডারসনকে।
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যান্ডারসনের একটা স্পেল ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টেই ইংল্যান্ড তাদের সর্বকালের সেরা উইকেটশিকারিকে বিশ্রাম দেয়। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এ বার কি বুধবার থেকে মোতেরায় শুরু হতে যাওয়া দিনরাতের টেস্টে ফিরিয়ে আনা হতে পারে অ্যান্ডারসনকে? ইতিমধ্যেই কিন্তু ইংল্যান্ডের বর্ষীয়ান পেসারকে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠতে শুরু করেছে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অফস্পিনার গ্রেম সোয়ান পরিষ্কার বলেছেন, ‘‘দিনরাতের টেস্টে কিন্তু পার্থক্য গড়ে দিতে পারে জিমি। গোলাপি বলের টেস্টে ইংল্যান্ডের ভাল করা নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। কারণ, জিমি ফিরে আসছে। যত বয়স বাড়ছে, তত ধারালো হচ্ছে ও।’’ সোয়ান এও বলে দিচ্ছেন, ‘‘টিম লিস্টে জো রুটের আগেও জিমির নামটা লেখা উচিত।’’
এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডের খেলা তিনটে দিনরাতের টেস্টেই বল হাতে দেখা গিয়েছে অ্যান্ডারনসনকে। তিন টেস্টে নিয়েছেন ১৪টি উইকেট। যার মধ্যে অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪৩ রানে পাঁচ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং। তিনটে টেস্টের মধ্যে অবশ্য ইংল্যান্ড জিতেছিল শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। হারে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজ়িল্যান্ডের সঙ্গে।
এর আগের তিনটে দিনরাতের টেস্টেই একসঙ্গে খেলতে দেখা গিয়েছিল অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে। ২০১৭-২০১৮ সালে। এ বারও কি ইংল্যান্ডের সর্বকালের দুই সেরা পেসার জুটি বেঁধে নামবেন ভারতের বিরুদ্ধে? সঙ্গে জফ্রা আর্চার? যা ইংল্যান্ড পেস আক্রমণকে ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে। ইংল্যান্ডের ট্যাবলয়েডে নিজের কলামে ব্রড লিখেছেন, ‘‘অনেকেই বলছেন, এই মরসুমে ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে আমাকে আর অ্যান্ডারসনকে একসঙ্গে খেলতে দেখা যাবে। আমি বলব, এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। দল নির্বাচন হবে পিচের অবস্থা দেখে। সেটা মঙ্গলবার হতে পারে, ম্যাচের দিন সকালেও হতে পারে।’’
দ্বিতীয় টেস্ট হারলেও দিনরাতের দ্বৈরথের আগে ইংল্যান্ড শিবিরে কিন্তু আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। সুস্থ হয়ে দলে ফিরে আসা ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্রলির কথাতেই তার প্রতিফলন হচ্ছে। আত্মবিশ্বাসী ক্রলি মনে করেন, দিনরাতের টেস্টে ভারতের থেকে এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। মনে করা হচ্ছে, গোলাপি বল সুইং করলে তা সামলানোর দক্ষতা ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের বেশি আছে। ক্রলির কথায়, ‘‘আমরা এমন পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছি, যেখানে বল বেশি নড়াচড়া করে। আমরা অনেক দেরিতে সুইং বল খেলি। আমার মনে হয়, গোলাপি বলের টেস্টে আমাদেরই সুবিধে হবে।’’