ভারতীয় ক্রিকেটে যুবরাজ সিংহ নিঃসন্দেহে এক বর্ণময় চরিত্র। ভারতের হয়ে অভিষেকের পর থেকেই মাঠে এবং মাঠের বাইরে নানা কারণে তিনি শিরোনামে এসেছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছয় বলে ছয় ছক্কাই হোক, বা ২০১১ বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার, যুবরাজের অবদানকে অস্বীকার করতে পারেননি কেউই।
শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরে নানা কারণে তিনি শিরোনামে এসেছেন। একাধিক বার বিভিন্ন বলিউডি অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা হয়েছে।
যুবরাজ বার বারই তা অস্বীকার করেছেন। তবে সমর্থকদের জল্পনা তাতে থামেনি। বরং আরও বেড়েছে।
দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যেমন। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই দু’জনকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। পরে ভারতের খেলার সময় দীপিকাকে দেখা যায় গ্যালারি থেকে যুবরাজকে উৎসাহ দিচ্ছেন। এমনকী দীপিকা তাঁর জন্য জন্মদিনের পার্টিও আয়োজন করেছিলেন।
মিনিশা লম্বার সঙ্গেও যুবরাজের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল। ২০১১ সালে দু’জনের একটি ছবি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। মিনিশা তা স্বীকার করেননি। তখন বলেছিলেন, তাঁর মতোই দেখতে কোনও মহিলার সঙ্গে ছিলেন যুবরাজ।
দীপিকার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বঙ্গতনয়া রিয়া সেনের সঙ্গে জড়িয়ে যায় যুবরাজের নাম। একটি পার্টিতে গিয়ে রিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল যুবরাজের। দু’জনেই নাকি একে অপরের থেকে চোখ সরাতে পারেননি। কোনও এক গেট টুগেদারে একে অপরের হাত ধরেছিলেন তাঁরা।
মহব্বঁতে-খ্যাত কিম শর্মার সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল যুবরাজের। প্রায় চার বছর ডেট করার পর ২০০৭ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
অনেকেই বলেছিলেন, কিমের খারাপ ব্যবহারের কারণেই নাকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আর এক পক্ষের দাবি, মা শবনমের সমর্থন ছিল না বলেই কিমের সঙ্গে বিচ্ছেদ করেন যুবরাজ।
মহব্বঁতে-খ্যাত আর এক অভিনেত্রী প্রীতি জাঙ্গিয়ানির সঙ্গেও জড়িয়েছিল যুবরাজের নাম। কিমের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই নাকি দু’জনে সম্পর্কে জড়ান। একাধিক বার ডেট হলেও দু’জনের কেউই তা স্বীকার করেননি।
ছোটবেলার বন্ধু অঞ্চল কুমারের সঙ্গেও ছিল যুবরাজের সম্পর্ক। আইপিএল ম্যাচের পর দু’জনে একাধিক পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে কোনও এক কারণে দু’জনের সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি।
বিষেন সিংহ বেদির ছেলে অভিনেতা অঙ্গদ বেদির স্ত্রী নেহা ধুপিয়ার সঙ্গেও জড়িয়েছিল যুবরাজের নাম। ২০১৪ সালে দু’জনের ডেটিং করার খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম।
অভিনেত্রী সোফি চৌধুরির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে নেহার সঙ্গে দেখা হয় যুবরাজের। তখন থেকেই প্রেম। তবে পরে নেহাই প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টার সঙ্গেও জড়িয়ে গিয়েছিল যুবরাজের নাম। যুবরাজ তখন তৎকালীন কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলে খেলেন, যে দল এখনও প্রীতির মালিকানাধীন।
ম্যাচের পর একাধিক পার্টিতে প্রীতির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল যুবরাজকে। দু’জনের পরস্পরকে জড়িয়ে ধরার ছবি এখনও নেটমাধ্যমে পাওয়া যাবে। যদিও প্রীতি এই সম্পর্কের কথা বার বার অস্বীকার করেছেন।
অবশেষে ২০১৬ সালে নিজের জীবনসঙ্গীনী খুঁজে পান যুবরাজ। বিয়ে করেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী হ্যাজল কিচকে।
বেশ কিছু বছর ধরে হ্যাজলকে ডেট করার পর বিয়ে করেন যুবরাজ। এই বিয়েতে সমর্থন ছিল তাঁর মা শবনমেরও। ধুমধাম করে বিয়ে হয় দু’জনের।
সম্প্রতি এই দম্পতির পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। স্বামীর উদ্দেশে আবেগঘন বার্তা লিখে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেন কিচ।