WPL 2023

প্রথম নিলামেই ‘বিরাট’ ভুল! সামলাতে কোহলির একের পর এক উত্তরসূরিকে কিনেই চলেছে দিল্লি

আইপিএলের দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি সব সময় আস্থা রেখেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়কের উপর। শুধু ২০০৮ সালের নিলামে আস্থা রাখতে পারেনি তারা। সেই ক্ষতি এখনও বইছে তারা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:২৪
picture of virat kohli

প্রথম থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আইপিএল খেলছেন কোহলি। ছবি: টুইটার।

২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে আইপিএল। সে বার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ককে নিলাম থেকে কেনেনি দিল্লি। সেই ভুল আর কখনও করেনি তারা। তার পর থেকে যখনই আইপিএলের নিলাম হয়েছে, তখনই দিল্লি কিনেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ককে।

মহিলাদের প্রথম আইপিএলের নিলাম থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক শেফালি বর্মাকে ঘরে তুলেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম বারের ভুল আর করেনি তারা। সে সময় অবশ্য এই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির নাম ছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। মালিকানা বদলের পর দলের নাম পরিবর্তন হয়।

Advertisement

২০০৮ সালের নিলামে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। অথচ ঘরের ছেলেকেই ঘরে তোলেনি দিল্লি। পরে আর কখনও কোহলিকে দলে নিতে পারেনি তারা। প্রথম থেকেই ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক খেলছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে। কোহলিকে দলে না নেওয়া কত বড় ভুল হয়েছিল, তা দিল্লি কর্তৃপক্ষ বুঝেছেন পরে। তাই এই ভুল আর কখনও করেননি তাঁরা। সুযোগ পেলেই তাঁরা কিনে নিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ককে।

GFX

আইপিএলের প্রথম নিলামে কোহলিকে কেনেনি দিল্লি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

২০১২ সালে উন্মুক্ত চাঁদ, ২০১৮ সালে পৃথ্বী শ, ২০২২ সালে যশ ঢুল এবং এ বার মহিলাদের আইপিএলের নিলামে শেফালিকে কিনেছে দিল্লি। সংশ্লিষ্ট বছরের নিলামে এঁরা সকলেই ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক। কোহলির মতোই উন্মুক্ত এবং যশ দিল্লির ছেলে। পৃথ্বী মুম্বইয়ের এবং শেফালি হরিয়ানার ক্রিকেটার। উন্মুক্ত বা পৃথ্বী নিজেদের ক্রিকেটার হিসাবে কোহলির উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেননি। সুযোগ না পেয়ে উন্মুক্ত এখন দেশ ছেড়ে আমেরিকার ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির মতো সাফল্য নেই পৃথ্বীরও। ভারতীয় দলেও তিনি নিয়মিত নন। যশের বয়স কম। দিল্লির রঞ্জি দলের অধিনায়ক তিনি। শেফালিও এই মুহূর্তে মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। বয়স কম হওয়ায় সামনে রয়েছে লম্বা ক্রিকেটজীবন। এই দুই ক্রিকেটারের সামনে সুযোগ রয়েছে আরও এগোনোর। যদিও তাঁরা ভবিষ্যতে কোহলির উচ্চতায় নিজেদের নিয়ে যেতে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।

দিল্লি অবশ্য অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়কদের উপর আস্থা রেখেই চলেছে। যদি নতুন কোহলি পাওয়া যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement