দলীপ ট্রফির ফাইনালে পশ্চিমাঞ্চলের ব্য়াটার আউট হওয়ার পরে উল্লাস দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিকেটারদের। ছবি: টুইটার
দলীপ ট্রফির ফাইনালে প্রথম দু’দিনই দাপট দেখালেন বোলারেরা। প্রথম দিন পশ্চিমাঞ্চলের বোলারদের সামনে সমস্যায় পড়েছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাটারেরা। দ্বিতীয় দিন ঠিক তার উল্টো ছবি দেখা গেল। ফলে দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংসে বেশি রান করতে না পারলেও ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে গিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দক্ষিণাঞ্চলের থেকে ৮৪ রান পিছিয়ে তারা।
প্রথম দিনের শেষে দক্ষিণাঞ্চলের রান ছিল সাত উইকেটে ১৮২। দ্বিতীয় দিন বাকি তিন উইকেটে আরও ৩১ রান যোগ করে তারা। ২১৩ রানে শেষ হয় তাদের প্রথম ইনিংস। পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাটিং লাইন আপ দেখে মনে হচ্ছিল, প্রথম ইনিংসে বড় লিড নিতে পারে তারা। কিন্তু আদতে হল তার উল্টো।
চিন্নাস্বামীর উইকেটে ইনিংসের শুরু থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের পেসারদের সামনে সমস্যায় পড়েন পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাটারেরা। একমাত্র পৃথ্বী শ ছাড়া আর কোনও ব্যাটার রান পাননি। অধিনায়ক প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল মাত্র ১১ রানে আউট হন। হার্ভিক দেশাই করেন ২১ রান।
পৃথ্বী অর্ধশতরান করেন। বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু ৬৫ রানের মাথায় বিজয়কুমার বিশাখের বলে আউট হন তিনি। পৃথ্বী আউট হওয়ার পরে দলের রানকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল তিন অভিজ্ঞ ব্যাটার চেতেশ্বর পুজারা, সূর্যকুমার যাদব ও সরফরাজ় খানের উপর। কিন্তু তিন জনই ব্যর্থ হলেন। তিন অভিজ্ঞ ব্যাটারের উইকেট নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের নায়ক বিদ্বথ কাভেরাপ্পা। তাঁর বলে পুজারা নয়, সূর্য আট ও সরফরাজ় শূন্য রানে ফিরলেন। সেখানেই অনেকটা চাপে পড়ে গেল পশ্চিমাঞ্চল। সেখান থেকে ফিরতে পারল না তারা।
দ্বিতীয় দিনের শেষে পশ্চিমাঞ্চলের রান সাত উইকেটে ১২৯। এখনও ৮৪ রান পিছিয়ে তারা। যা পরিস্থিতি তাতে তৃতীয় দিনের শুরুতে বাকি তিন ব্যাটারকে আউট করে ৫০ রানের বেশি লিড নিতে পারে দক্ষিণাঞ্চল।