ICC Ban

বিশ্বকাপ শেষ হতেই ক্রিকেটে দুর্নীতির কলঙ্ক, ছ’বছর নির্বাসিত ইডেনে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার চার দিনের মধ্যে ক্রিকেটে আবার দুর্নীতির ছায়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিশ্বকাপজয়ীকে ছ’বছরের জন্য নির্বাসিত করে দিল আইসিসি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০৯
cricket

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার চার দিনের মধ্যে ক্রিকেটে আবার দুর্নীতির ছায়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিশ্বকাপজয়ী মার্লন স্যামুয়েলসকে ছ’বছরের জন্য নির্বাসিত করে দিল আইসিসি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দুর্নীতির অপরাধ করেছিলেন। এ বছরের অগস্ট মাসে সেই দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্ত হয়েছেন স্যামুয়েলস।

Advertisement

চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে। জুয়াড়িদের থেকে উপহার, অর্থ বা অন্যান্য সুবিধা পাওয়া সত্ত্বেও তিনি আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী আধিকারিকদের কাছে তা লুকিয়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, ৭৫০ ডলার বা তাঁর বেশি মূল্যের আর্থিক সুবিধা পেলেও তা জানাননি। তৃতীয়, আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার আধিকারিকদের তদন্তের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। চতুর্থত, আইসিসি-র দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার আধিকারিকদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা তথ্য না দেখিয়ে তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শালের দাবি, স্যামুয়েলস সব নিয়ম জানা সত্ত্বেও দুর্নীতিতে মদত দিয়ে গিয়েছেন। অপরাধ করলেও তা লুকিয়ে গিয়েছেন। এমনকী তদন্তেও কিছু স্বীকার করেননি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ়‌ের হয়ে বিভিন্ন ফরম্যাটে ৩০০-র বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৮ বছর দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১২ এবং ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন ফাইনালে। ২০১৬-র বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্সে। কার্লোস ব্রাথওয়েটের চার ছক্কা সত্ত্বেও স্যামুয়েলসের অবদান ভোলার নয়। দু’টি ফাইনালেই তিনি ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।

আরও পড়ুন
Advertisement