হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টিতে হার দিয়ে শুরু ভারতের। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে প্রথম ম্যাচটি চার রানে হেরে গেলেন হার্দিক পাণ্ড্যেরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ১৪৯ রান তোলে প্রথমে ব্যাট করে। কিন্তু সহজ লক্ষ্য পেয়েও ভারত শেষ হয়ে গেল ১৪৫ রানে।
টসে হেরে প্রথমে বল করতে হয় ভারতকে। আরশদীপ সিংহ এবং মুকেশ কুমার ভারতের হয়ে নতুন বলে শুরু করেছিলেন। টেস্ট এবং এক দিনের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ়েও অভিষেক হল বাংলার পেসারের। নতুন বলে প্রথম ওভারে ন’রান দেওয়া মুকেশ ডেথ ওভারে নজর কাড়লেন। তিনি তিন ওভারে দেন ২৪ রান। ১৮ এবং ২০তম ওভারে বল করতে এসে একটিও বাউন্ডারি দেননি মুকেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের রান আটকে রাখার ক্ষেত্রে শেষ দিকে বড় ভূমিকা নেন তিনি।
ভারতের হয়ে প্রথম উইকেটটি নেন যুজবেন্দ্র চহাল। কাইল মেয়ার্সকে (১) এলবিডব্লিউ করেন তিনি। সেই ওভারেই তুলে নেন অন্য ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে (২৮)। পর পর দু’টি উইকেট হারিয়ে একটু বেকায়দায় পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। দলের উপর তৈরি হওয়া চাপ কাটানোর চেষ্টা করছিলেন ফর্মে থাকা নিকোলাস পুরান। তিনি দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। কিন্তু উল্টো দিকে থাকা জনসন চার্লসকে (৩) আউট করে দেন কুলদীপ যাদব। পুরানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক রভমন পাওয়েল। কিন্তু জুটিতে ৩৮ রানের বেশি তুলতে পারেননি তাঁরা। ৪১ রান করা পুরানের উইকেট তুলে নেন ভারতের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। বেশি রান করতে পারেননি শিমরন হেটমেয়ার (১০)। আরশদীপ ১৯তম ওভারে পাওয়েল এবং হেটমেয়ারের উইকেট তুলে নেন। ফলে রানের গতি মাঝে বাড়ানোর চেষ্টা করলেও ১৪৯ রানে আটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
ভারতের হয়ে সব থেকে কম রান দেন কুলদীপ চার ওভারে মাত্র ২০ রান দেন তিনি। হার্দিক চার ওভারে ২৭ রান দেন। এক দিনের সিরিজ়ে একটিও ম্যাচে সুযোগ না পাওয়া চহাল এই ম্যাচে দু’উইকেট নেন। তিন ওভারে ২৪ রান দেন তিনি। অক্ষর পটেল বল হাতে কার্যকরী হতে পারেননি। দু’ওভারে ২২ রান দেন তিনি। মুকেশ উইকেট না পেলেও ডেথ ওভারে বাউন্ডারি না দিয়ে নজর কাড়লেন।
১৫০ রান তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই শুভমন গিলের উইকেট হারায়। টেস্ট এবং এক দিনের সিরিজ়ে রান পাচ্ছিলেন না শুভমন। শেষ এক দিনের ম্যাচে ৮৫ রান করলেও খুব একটা স্বচ্ছন্দে ব্যাট করতে দেখা যায়নি তাঁকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের শুরুটাও ভাল হল না তাঁর। অন্য ওপেনার ঈশান কিশন মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে যান।
ভারতের কোনও ব্যাটারই ১৫০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারলেন না। খুব কঠিন লক্ষ্য ছিল না ভারতের সামনে। কিন্তু অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তিলক বর্মা ৩৯ রান করে গেলেও তাঁকে কোনও ব্যাটার সাহায্য করতে পারলেন না। হার্দিক নিজে ১৯ বলে ১৯ রান করে আউট হন। সঞ্জু স্যামসন আশা দেখাচ্ছিলেন কিন্তু অক্ষর পটেলের ভুলে রান আউট হলেন তিনি। অক্ষর নিজেও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না। আরশদীপ সিংহ দু’টি চার মেরে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচ শেষ করতে পারলেন না। শেষ বলে জেতার জন্য ৬ রান দরকার ছিল। কিন্তু ৯ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতের কোনও ব্যাটারের পক্ষে সেই ছক্কা মারা সম্ভব হল না।