তামিম ইকবাল। —ফাইল চিত্র।
তামিম ইকবাল বাংলাদেশের এক দিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন। কিছু দিন আগে হঠাৎ অবসর নিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে অবসর ভেঙে আবার ফিরে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়ে দিলেন যে, এক দিনের ক্রিকেটে আর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন না।
তামিম বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দেখা করেন। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি এক দিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছাড়ছেন। তামিমের পিঠে চোট রয়েছে। কিছু দিন আগে ইংল্যান্ডে গিয়ে চিকিৎসাও করিয়েছেন। অবসর ভেঙে ফিরে এসে তিনি জানিয়েছিলেন যে, দেড় মাসের জন্য বিরতি নিচ্ছেন। মনে করা হয়েছিল এশিয়া কাপে ফিরতে পারেন তিনি। কিন্তু পিঠের চোটের কারণে এশিয়া কাপে তাঁর খেলায় অনিশ্চয়তা রয়েছে।
৬ জুলাই তামিম হঠাৎ করে অবসর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। ১৬ বছরের কেরিয়ার থেকে অবসরের কথা জানিয়েছিলেন তামিম। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এটাই আমার শেষ। আমি নিজের সেরাটা দিয়েছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। আমার ১৬ বছরের যাত্রাপথে পাশে থাকার জন্য সতীর্থ, কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও আমার পরিবারকে অনেক ধন্যবাদ।’’ তামিম আরও বলেছিলেন, ‘‘বাংলাদেশের সমর্থকদেরও একটা বড় ধন্যবাদ প্রাপ্য। আশা করছি আগামী দিনেও আপনারা আমাকে ভালবাসবেন।’’
কিন্তু ২৯ ঘণ্টার মধ্যেই অবসর ভেঙে বেরিয়ে আসেন তামিম। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ৭ জুলাই তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন তামিম। সেখানে তিন ঘণ্টা আলোচনা হয়। তার পর বেরিয়ে এসে তামিম জানিয়েছিলেন যে, তিনি অবসর ভেঙে বেরিয়ে আসছেন। তামিম বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী দুপুরে তাঁর বাড়িতে আমাকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। ওঁর সঙ্গে আমার অনেক ক্ষণ আলোচনা হয়েছে। উনি আমাকে খেলায় ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি অবসর তুলে নিচ্ছি। সবাইকে না বললেও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে না বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’’
অবসরের ঘোষণা করতে গিয়ে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তামিম। কেঁদে ফেলেছিলেন। অবসরের কথা জানালেও কেন হঠাৎ অবসর নিলেন, তার কোনও কারণ জানাননি তামিম। এ ভাবে আফগানিস্তান সিরিজ়ের মাঝপথে অবসর নেওয়ার বিষয়েও মুখ খোলেননি তিনি। সেই অবসর ভেঙে ফিরে এলেও আর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন না তামিম।