বিসিসিআইয়ের ফটোশুটে বিরাট কোহলি। ছবি: টুইটার
এক সময় ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ এবং শত্রুতা নিয়ে প্রচুর চর্চা হত। সিরিজ় শুরুর আগে থেকেই তৈরি হত অশান্তির বাতাবরণ। কিন্তু বিদেশের মাটিতে ভারত দাপট দেখানোর পর থেকে তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এমনটা মনে করেন বিরাট কোহলি। তাঁর মতে, শত্রুতার বদলে এখন প্রতিপক্ষের মধ্যে সমীহ দেখা যায় বেশি।
২০১৮-১৯ এবং ২০২০-২১, পর পর দু’বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গিয়ে সিরিজ় জিতেছে ভারত। দু’বারই অধিনায়ক ছিলেন কোহলি। তবে দ্বিতীয় বার প্রথম টেস্ট খেলে ফিরে এসেছিলেন। দলকে নেতৃত্ব দেন অজিঙ্ক রাহানে। অতীতে কোহলি নিজেই অজিদের সমালোচনা করেছিলেন। ২০১৭ সালে বলেছিলেন, অস্ট্রেলীয়রা বাকিদের শ্রদ্ধা করতে জানে না। তিনিই এখন মানসিকতার বদল দেখে চমকে গিয়েছেন।
সম্প্রচারকারী চ্যানেলে কোহলি বলেছেন, “আগেকার দিনে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ় মানেই ছিল অশান্তির আবহ। সব সময় একটা ভয়ের পরিবেশ হয়ে থাকত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দুটো সিরিজ জেতার পরেই শত্রুতা আস্তে আস্তে সমীহে পরিণত হয়েছে। টেস্ট দল হিসাবে এখন আর আমাদের কেউ হালকা ভাবে নেয় না। প্রতিপক্ষ যে সমীহ করে সেটা আমরা দেখেই বুঝতে পারি। নিজেদের পরিবেশেও যে আমরা ওদের কঠিন লড়াই দিতে পারি সেটা বিশ্বাস করে। আর আমাদের হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না। আগে বেশ চিন্তার বাতাবরণ থাকত। কিন্তু এখন সেটা নেই। সবাই জানে আমরা ওদের সমান।”
KING KOHLI SUPREMACY cannot go unnoticed even in the nets!
— Star Sports (@StarSportsIndia) June 5, 2023
We're ready to see @imVkohli quash the Australian bowling line-up!
Tune-in to #FollowTheBlues
June 7 | 9 AM & 12 PM | Star Sports Network & Disney+ Hotstar.#WTCFinalOnStar #BelieveInBlue pic.twitter.com/oWeydFBo6O
দু’বছর আগে প্রথম বার বিশ্ব টেস্টের ফাইনালে উঠে হেরেছিল ভারত। কিন্তু এ বার তাঁরা মানসিক ভাবে ভালই প্রস্তুত বলে মনে করেন কোহলি। বলেছেন, “ওভালে ব্যাট করতে নামলে কখনওই নির্দিষ্ট একটা পরিবেশের প্রত্যাশা করতে পারেন না। পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকা চাই। দুটো দলের কাছেই এটা আলাদা একটা ম্যাচ। যারা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে তারাই জিতবে। এটাই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মহিমা, যেখানে দুটো দেশ নিরপেক্ষ মাঠে খেলে। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার এটাই সেরা সুযোগ।”