বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
দীর্ঘ ক্রিকেটজীবনে অনেক বাধাবিপত্তির মুখে পড়েছেন তিনি। সে ভাবেই কেটে গিয়েছে ১৫টি বছর। চলতি বছরে আরও দু’টি কঠিন পরীক্ষা তাঁর সামনে। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে দলকে ট্রফি জেতাতে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে। বিরাট কোহলি অবশ্য ভয় পাচ্ছেন না। বরং উল্টো মেরুতে তিনি। আসন্ন লড়াইয়ের কথা ভেবে তিনি উত্তেজিত।
বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে কোহলি বলেছেন, “সামনে যে কোনও চ্যালেঞ্জই আসুক, আমি সেটা সামলানোর জন্যে মুখিয়ে থাকি। উত্তেজিত হয়ে থাকি। ভয় বা লজ্জা পেয়ে পিছিয়ে যাই না। ১৫ বছর ক্রিকেট খেলার পরেও কঠিন লড়াই থাকলেও উত্তেজিত হয়ে পড়ি। নতুন কিছু করার চেষ্টা করি যেটা আমাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”
ঘরের মাঠে আবার বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন। তাঁর উপর যে গোটা দেশের প্রত্যাশার চাপ রয়েছে সেটা মেনে নিয়েছেন কোহলি। আবার এটাও বলেছেন, তাঁর মতো সব ক্রিকেটারই বিশ্বকাপ হাতে তুলতে মরিয়া। কোহলির কথায়, “চাপ তো থাকবেই। সমর্থকেরা বার বার আমাদের কাছে ট্রফির আব্দার করে। তবে আমার থেকে বেশি ট্রফি কেউ চায় না। প্রত্যাশা থাকুক, আবেগ থাকুক। তবে এটা জেনে রাখুন, ক্রিকেটারদের থেকে বেশি আর কেউ ট্রফিটা চায় না।”
বিশ্বকাপ জেতা তাঁর অভ্যেসেই রয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, এক দিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন। ২০১১ সালের ট্রফি জয়কেই উপরে রাখছেন তিনি। কোহলি বলেছেন, “তখন আমার ২৩ বছর বয়স। বিশ্বকাপের মাহাত্ম্য কতটা সেটা বুঝতে সময় লেগেছে। এখন আমি ৩৪, অনেকগুলো বিশ্বকাপে খেলে ফেললেও জিততে পারিনি। তাই সেই দলের বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি কেমন ছিল সেটা জানি। সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে সচিন তেন্ডুলকরের জন্য। কারণ ওর শেষ বিশ্বকাপ ছিল। তার আগে অনেক বিশ্বকাপে খেলেও ট্রফি হাতে তুলতে পারেনি। কিন্তু মুম্বইয়ে ওর নিজের শহরে বিশ্বকাপ জেতা, ব্যাপারটাই অন্য রকম। স্বপ্নের মতো।”
১২ বছর আগের বিশ্বকাপের সময়েও কোহলিকে প্রত্যাশার চাপ সামলাতে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, “আমরা এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার সময়েই ব্যাপারটা বুঝতে পারছিলাম। তখন সমাজমাধ্যমের এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। তা হলে দুঃস্বপ্ন হয়ে যেত। একটাই স্বপ্নে বিশ্বাস করতাম, বিশ্বকাপ জিততে হবে। চাপ সামলানোর দায়িত্ব দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেরা নিয়েছিল।”