কোহলির থেকে ১২ গুণ কম বেতন পান বাবর। — ফাইল চিত্র
কিছু দিন আগেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তি প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। কিছু ক্রিকেটার ঢুকেছেন, কিছু বাদ পড়েছেন। তবে বিরাট কোহলিদের চুক্তি প্রকাশ্যে আসার পরেই সমর্থকরা টেনে এনেছেন পাকিস্তানের বার্ষিক চুক্তির টাকার অঙ্ক। তার পরেই বাবর আজমদের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অর্থের ফারাক নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তুলনা এবং টিকা-টিপ্পনী।
বার্ষিক চুক্তিতে সর্বোচ্চ বিভাগে রয়েছেন কোহলি, যিনি বছরে বোর্ডের থেকে পাবেন সাত কোটি টাকা। বাবরের থেকে ১২ গুণ বেশি অর্থ বোর্ডের থেকে পাবেন তিনি। বাবরের প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৪৩ লক্ষ টাকা। তবে শুধু কোহলিদের টানা অর্থহীন। পাকিস্তানের কোনও ক্রিকেটারই ভারতীয়দের সঙ্গে তুলনায় আসেন না।
উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। পাকিস্তান বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতে সবচেয়ে উপরে থাকা ক্রিকেটাররা বছরে পাকিস্তানি মুদ্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা পান। ভারতীয় মুদ্রায় যা সাড়ে ৪৩ লক্ষের আশেপাশে। ভারতে সর্বনিম্ন বিভাগে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও বছরে এক কোটি টাকা পান। অর্থাৎ বার্ষিক চুক্তিতে সবচেয়ে নীচে থাকা ভারতীয় ব্যাটাররা যে টাকা পান, তার অর্ধেক টাকা পান পাক বোর্ডে সবচেয়ে উঁচুতে থাকা ক্রিকেটাররা। এই তালিকায় বাবর ছাড়াও রয়েছেন মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি, ইমাম-উল হক এবং হাসান আলি। তাঁরা ভারতের সঞ্জু স্যামসন, আরশদীপ সিংহ, যুজবেন্দ্র চহালদের অর্ধেক অর্থ পান।
অর্থের এই বৈষম্য নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ক্ষোভ দীর্ঘ দিন ধরেই রয়েছে। বেশ কিছু ক্রিকেটার সেই ক্ষোভ উগরেও দিয়েছেন। কিন্তু আইসিসি বা সম্প্রচার স্বত্ব থেকে ভারত এবং পাক বোর্ডের আয়ের বিস্তর ফারাক হয়েছে। সে কারণেই সমান অর্থ তো দূর, কাছাকাছি অর্থ দেওয়াও সম্ভব নয়।