ICC Women\'s Under-19 Cricket World Cup

বিশ্বকাপ জিতে শেফালি, তিতাসদের চোখে ‘কালা চশমা’, সাজঘরে আর কী করল ভারতীয় দল?

স্বাভাবিক ভাবেই গোটা দল উচ্ছ্বসিত। সাজঘরে ফিরে গোটা দল মেতে উঠল বলিউডি গানে। বিখ্যাত গান ‘কালা চশমা’র তালে নাচতে দেখা গিয়েছে শেফালি বর্মা, রিচা ঘোষ, তিতাস সাধুদের।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৪৭
indian u19 cricket team taking selfie

‘কালা চশমা’ গানের তালে নাচতে দেখা গিয়েছে শেফালি বর্মা, রিচা ঘোষ, তিতাস সাধুদের। ছবি: টুইটার

ইংল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়ে রবিবার অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। প্রথম বার প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে। তাতেই চ্যাম্পিয়নের ট্রফি উঠেছে ভারতের হাতে। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা দল উচ্ছ্বসিত। সাজঘরে ফিরে গোটা দল মেতে উঠল বলিউডি গানে। ‘কালা চশমা’ গানের তালে নাচতে দেখা গিয়েছে শেফালি বর্মা, রিচা ঘোষ, তিতাস সাধুদের।

ইংল্যান্ডকে হারাতে সে ভাবে বেগ পেতে হয়নি ভারতকে। বোলারদের দাপটে মাত্র ৬৮ রানেই ইংরেজদের ইনিংস মুড়িয়ে দেন ভারতীয়রা। জয়ের রান তুলতে মাত্র তিন উইকেট খরচ করতে হয়েছে। ভাল খেলেন সৌম্যা তিওয়ারি এবং গঙ্গোডি তৃষা।

Advertisement

ভারতের পুরুষ দলের মধ্যেও ‘কালা চশমা’ গানটির জনপ্রিয়তা রয়েছে। অগস্টে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের পর শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বাধীন দল এই গানের সঙ্গে সাজঘরে নেচেছিল। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয় ইনস্টাগ্রামে। সেই ম্যাচে শুভমন গিল ১৩০ রান করেন, যা এক দিনের ক্রিকেটে তাঁর প্রথম শতরান।

এর পর এশিয়া কাপে আবার এই গানের সঙ্গে নাচ দেখা যায়। তবে ভারতীয়রা নন, হংকংয়ের ক্রিকেটাররা এই গানের সঙ্গে নাচেন। হংকংয়ের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই হয় ভারতীয়, না হয় পাকিস্তানি। ফলে গানের ভাষা বা সুর বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁদের।

রবিবারের ম্যাচের পর কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শেফালি। সাধারণত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলে সিনিয়র দলে সুযোগ পান ক্রিকেটাররা। শেফালি এবং আরও কিছু মহিলা ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। তাঁরা আগেই সিনিয়র দলে খেলে ফেলেছেন। তবু যে কোনও বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদই অন্য রকম। সেটা মাথায় রেখেই শেফালি বলেন, “যে ভাবে দলের প্রত্যেকে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং প্রতিযোগিতা জুড়ে খেলেছে, তাতে আমি প্রচণ্ড খুশি। দলের স্টাফদেরও ধন্যবাদ। গোটা প্রতিযোগিতায় আমার পাশে ছিল এবং মনে করিয়ে দিয়েছে, ট্রফি জেতার জন্য ঠিক কী করতে হবে। সতীর্থদেরও সমর্থন পেয়েছি। বোর্ডকেও অনেক ধন্যবাদ আমাদের দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যে।”

শ্বেতা সেহরাওয়াতের জন্য আলাদা করে প্রশংসা করেন শেফালি। বলেন, “যা পরিকল্পনা ছিল সব নিখুঁত ভাবে কাজে লাগিয়েছে ও। এ ছাড়াও অর্চনা, সৌম্যা, আরও বাকিরা রয়েছে।” বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শেফালি। আবেগের বশে কথাই বলতে পারছিলেন না ঠিক করে। সঞ্চালকও আর তাঁকে প্রশ্ন করেননি।

মেয়েদের এই দলের কোচ নুশিন আল খাদির, যিনি ২০০৫ বিশ্বকাপ খেলেছেন মিতালি, ঝুলনদের সঙ্গে। সে বার বিশ্বকাপ পাননি। এ বার কোচ হিসাবে বিশ্বকাপের স্বাদ পেলেন। নুশিন বলেন, “অনেক দিন ধরে এই দিনটা জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের দলে কতটা গভীরতা রয়েছে সেটা প্রমাণ করে দিল এই ট্রফি। নিজের উপর বিশ্বাস রাখাই সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটা খারাপ ম্যাচ গিয়েছে। তার পরেও যে ভাবে প্রত্যেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা প্রশংসাযোগ্য।”

আরও পড়ুন
Advertisement