রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানকে ফাইনালে হারিয়ে জিতেছে ইংল্যান্ড। ২০১০-এর পর আবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন তারা। ২০১৯ বিশ্বকাপ ধরে রাখার মধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেয়ে গেলেন জস বাটলাররা।
ইংল্যান্ডের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই কোনও না কোনও ম্যাচে ভাল খেলেছেন। আবার ফাইনালে না উঠলেও ভারতের বেশ কিছু ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সকে অগ্রাহ্য করা যাবে না। তেমনই গ্রুপ পর্বেও কিছু দল চমকে দিয়েছে। সবাইকে মাথায় রেখেই বিশ্বকাপের সেরা একাদশ বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
জস বাটলার: ইংল্যান্ডের অধিনায়ক শুধু ট্রফিই জেতেননি, গোটা প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করেছেন। পাঁচ ম্যাচে ২২৫ রান করেছেন, যার মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৮০ রয়েছে। ফাইনালেও শুরুটা ভালই করেন। স্বাভাবিক ভাবে, তিনিই দলের অধিনায়ক এবং ওপেনার।
মহম্মদ রিজ়ওয়ান: পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি নিয়ে সমস্যা ছিল। বাবর আজ়ম একটি ম্যাচ বাদে ছন্দে ছিলেন না। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে দলের হয়ে অবদান রেখেছেন রিজ়ওয়ান। প্রতিযোগিতায় ৭ ম্যাচে ১৭৫ রান করেছেন। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে অর্ধশতরান করেন।
বিরাট কোহলি: প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। চারটি অর্ধশতরান-সহ ৬ ম্যাচে ২৯৬ রান করেছেন। গড় ৯৮.৬৬। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ম্যাচ জেতানো ইনিংস কেউ ভুলে যাননি। দল ফাইনালে না উঠলেও কোহলি ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেছেন।
সূর্যকুমার যাদব: প্রথম বিশ্বকাপেই মাতিয়ে দিয়েছেন। তাঁরও সংগ্রহে তিনটি অর্ধশতরান রয়েছে। ৬ ম্যাচে রান ২৩৯। চার নম্বরে নেমে ভারতের ভরসা হয়ে ওঠেন তিনি। তবে সেমিফাইনালে ভাল খেলতে পারেননি।
বেন স্টোকস: গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ এবং ফাইনাল, দু’টি জায়গাতেই হারা ম্যাচ দলকে জিতিয়েছেন। আক্ষরিক অর্থেই বড় ম্যাচের ক্রিকেটার। অতীতে ইংল্যান্ডকে অনেক ম্যাচে একার হাতে জিতিয়ে দিয়েছেন। বড় ম্যাচ এলেই জ্বলে ওঠেন। ৫ ম্যাচে ১১০ রান করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৬টি।
মইন আলি: হয়তো বিরাট আহামরি খেলেননি বিশ্বকাপে। কিন্তু ভারসাম্যের কথা মাথায় রেখে দলে রাখতেই হবে তাঁকে। মাঝের দিকে নেমে চালিয়ে খেলতে যেমন জুড়ি নেই, তেমনই বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিতে পারেন।
শাদাব খান: পাকিস্তানের হয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচে মাঝের সারিতে দলকে ভরসা দিয়েছেন শাদাব। ডান হাতে চমৎকার লেগ-স্পিন বোলিং করতে পারেন। আবার চালিয়ে খেলতেও সমস্যা হয় না।
মিচেল স্যান্টনার: মইন এবং শাদাবের মতো ভূমিকা নিতে পারেন স্যান্টনারও। তাঁর হাতেও শট রয়েছে। আগের দু’জন ব্যর্থ হলে অনায়াসে স্যান্টনার খেলে দিতে পারবেন। বিশ্বকাপে ৯টি উইকেট নিয়েছেন। তবে ব্যাট হাতে সে ভাবে সফল হতে পারেননি। কিন্তু সেরা একাদশে থাকার যোগ্য তিনি।
স্যাম কারেন: দলে তাঁর জায়গা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ফাইনাল এবং প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার তিনি। বিশ্বকাপ শুরুই করেন পাঁচ উইকেট নিয়ে। ফাইনালে নিলেন তিন উইকেট। আইপিএলের পর এ বার গোটা বিশ্ব তাঁর প্রতিভা দেখতে পেল। প্রতিযোগিতায় ১৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
অনরিখ নোখিয়া: গ্রুপের শেষ ম্যাচে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেলেও নোখিয়া নজর কেড়ে নিয়েছেন। টানা ১৫০ কিমিতে বল করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। ১১টি উইকেট নিয়েছেন প্রতিযোগিতায়।
শাহিন আফ্রিদি: ফাইনালে চোট পাওয়ায় শেষের দিকের ওভারগুলি করতে পারেননি। এই চোটেই তাঁর বিশ্বকাপ এক সময় অনিশ্চিত ছিল। শাহিন শুধু খেলেনইনি, বলের বৈচিত্রে বুকে কাঁপন ধরিয়েছেন ব্যাটারদের। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি অন্যতম সেরা বোলার হিসাবে থাকবেন।