T20 World Cup 2022

গুলিতে জখম পা নিয়েই চোখ টিভিতে, বাবররা জেতায় কী বললেন ইমরান

রাজনীতিবিদ হলেও ইমরান খানের চোখ থাকল টিভিতেই। গুলিতে জখম হয়েছেন তিনি। পাকিস্তান জিতে ফাইনালে ওঠার পর কী বললেন?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৪৫
জখম পায়ে তিনি ঘরবন্দি। তার ফাঁকেই ইমরান শুভেচ্ছা জানালেন বাবরদের।

জখম পায়ে তিনি ঘরবন্দি। তার ফাঁকেই ইমরান শুভেচ্ছা জানালেন বাবরদের। ফাইল ছবি

যতই তিনি এখন রাজনীতিবিদ হোন, আদতে তো তিনি বিখ্যাত হয়েছেন ক্রিকেট খেলেই। তাই দেশ যখন সুদূর সিডনিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নামছে, তখন তাঁর চোখ অন্য কোথাও থাকে কী করে? স্বাভাবিক ভাবেই নিউজ়‌িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ দেশে বসেই দেখলেন ইমরান খান। কিছু দিন আগেই দুষ্কৃতির গুলিতে জখম হয়েছে তাঁর পা। ফলে আপাতত তিনি ঘরবন্দি। পাকিস্তানের জয়ের পর প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী টুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন ক্রিকেটারদের।

ইমরান টুইট করেছেন, “দুর্দান্ত জয়ের জন্য বাবর আজ়ম এবং গোটা দলকে অনেক শুভেচ্ছা।” ম্যাচের আগেও ইমরান টুইট করেন। লেখেন, “গোটা দেশের তরফ থেকে বাবর আজ়ম এবং গোটা দলের জন্য আমার প্রার্থনা থাকল। আমরা চাই তোমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়ে যাও।” দেখা গেল, শেষ বল পর্যন্ত লড়তেই হল না বাবরদের। পাকিস্তানের অধিনায়ক এবং রিজ়ওয়ানের সৌজন্যে বেশ কিছুটা আগেই ম্যাচ শেষ করে ফেলল তারা।

Advertisement

১৯৯২ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে যে ভাবে খেলেছিল পাকিস্তান, এ বারও তাদের সেই ছন্দ। সে বার ইমরানের নেতৃত্বে গ্রুপ পর্বে খুব খারাপ খেলেও ফাইনালে পৌঁছে ট্রফি জিতে নিয়েছিল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে হারায় নিউজ়িল্যান্ডকে। এ বারও গ্রুপ পর্ব থেকে চরম অনিশ্চয়তার মাধ্যমে সেমিফাইনালে উঠলেও সেখানে নিউজ়‌িল্যান্ডকে হারিয়েছে তারা। অনেকেই ১৯৯২-এর পুনরাবৃত্তির স্বপ্ন দেখছেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাক পঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালার আলওয়ালা চকে একটি এসইউভিতে সওয়ার ইমরান তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে লং মার্চে যোগদানের আবেদন জানাচ্ছিলেন। সে সময় এক ব্যক্তি এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয় ঘটনাস্থলেই। যদিও ইমরানের সঙ্গীদের গুলিতে গুরুতর আহত ওই ব্যক্তির কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় বলে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে।

পরে ইমরান জানান, তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে চরমপন্থীরা। তবে তার আগে চক্রান্ত করেই তাঁর নামে বিতর্কিত টেপ প্রকাশ করে তাঁকে ধর্মবিরোধিতার দায়ে দোষী বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে ব্যাপারটাকে এ ভাবে সাজানো যায় যে, তিনি ধর্মবিরোধিতা করেছেন বলেই তাঁকে হত্যা করা হল।

একটি ভিডিয়ো বার্তায় ইমরান আরও জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বিশেষ সূত্রে আগে থেকেই হামলার খবর পেয়েছিলেন। চক্রান্তকারীদের নাম জানার পর সেই নাম একটি ভিডিয়ো টেপে রেকর্ড করে বিদেশে পাঠানোর সমস্ত ব্যবস্থাও করে রেখেছিলেন। যদি কিছু হত তবে সেই ভিডিয়ো টেপ যথাস্থানে পৌঁছে যেত।

আরও পড়ুন
Advertisement