ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না বাটলাররা। —ফাইল চিত্র
হঠাৎ করেই বদলে গিয়েছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের প্রথম চারটি ম্যাচে তারা যে মনোভাব নিয়ে খেলতে নেমেছিল, তা সেমিফাইনালে নামার আগে রোহিত শর্মাদের মনে ভয় ধরাতে পারত না। কিন্তু শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অনেক বেশি আগ্রাসন দেখা গেল ইংরেজ ক্রিকেটারদের চোখেমুখে। শ্রীলঙ্কার আগের ম্যাচগুলিতে জস বাটলারদের পরিকল্পনা ছিল একই রকম, একটি নির্দিষ্ট খাতে বইছিল সব কিছু। তাতে কোনও নতুনত্ব ছিল না। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই পরিকল্পনা ভেঙে বার হলেন তাঁরা। তার ফল হাতেনাতে পেলেন বাটলাররা। ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে সেই পরিকল্পনায় আরও বদল করতে চায় ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষের থেকে এক কদম এগিয়ে থাকতে চাইছেন বাটলাররা।
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ম্যাচ বাদে খুব একটা আহামরি ক্রিকেট খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছে। কিন্তু এ বার সামনে ভারত। সেমিফাইনালের লড়াই যে সহজ হবে না সেটা জানে ইংল্যান্ড। তাই গ্রুপ পর্বের পরিল্পনায় বেশ কিছু পরিবর্তন করতে পারে তারা।
শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়ে শেষ চারের রাস্তা পাকা করেছে ইংল্যান্ড। সামনে কঠিন লড়াই। সেই লড়াইয়ে নামার আগে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না ইংল্যান্ডের পেসার মার্ক উড। তিনি বলেছেন, ‘‘গত ম্যাচের থেকে অ্যাডিলেডে ম্যাচ আলাদা হবে। কারণ, ওখানকার পরিবেশ আলাদা, উইকেট আলাদা। তাই আমাদের আগে থেকে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’’ শুধু তাই নয়, দলে ভারসাম্য চান ইংরেজ পেসার। উড বলেছেন, ‘‘দলে ভারসাম্য চায়। সঠিক একাদশ বাছতে হবে আমাদের। বিশেষ করে বোলিং আক্রমণে যেন দুর্বলতা না থাকে। আমরা কোনও ফাঁক রাখতে চাই না। খেলায় বৈচিত্র নিয়ে আসতে হবে।’’
পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা অবশ্য শোনা গিয়েছে ভারত অধিনায়ক রোহিতের গলাতেও। জ়িম্বাবোয়েকে হারিয়ে উঠে রোহিত জানিয়েছেন, অ্যাডিলেডের পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা। ওখানে দু’পাশের বাউন্ডারি ছোট। সেটাও মাথায় রাখবেন তাঁরা।
গ্রুপ পর্বের পাঁচটি খেলাতে একই প্রথম একাদশ খেলিয়েছে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেমিফাইনালে সেটা হয়তো হবে না। দলে একের বেশি বদল হওয়ার সম্ভাবনা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে কুঁচকিতে চোট পেয়েছেন দাউইদ মালান। তাঁকে বসতে হতে পারে। বদলে দলে আসতে পারেন ফিল সল্ট। বা ক্রিস জর্ডনকেও দলে নেওয়া হতে পারে। তিনি এলে এক জন বাড়তি বোলারের সুবিধা পাবে ইংল্যান্ড।
আরও দু’জনের ফর্ম নিয়ে চিন্তা বাড়ছে ইংল্যান্ডের। হ্যারি ব্রুক ও বেন স্টোকস। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৮.১৬ গড়ে রান করেছেন ব্রুক। অন্য দিকে স্টোকসের ব্যাটেও রানের খরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪২ রান করলেও ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়কের রানের গড় ৯.৮০। ভারতের বিরুদ্ধে তাঁদের খেলানো হবে কি না সেই পরিকল্পনা করতে ব্যস্ত ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট।