জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বড় রান পেলেন না শাকিব। ছবি: আইসিসি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে কিছুটা ছন্দে দেখা গেল বাংলাদেশের ব্যাটারদের। জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে রান পেলেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁর ৫৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসের সুবাদে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শাকিব আল হাসানের দল করল ৭ উইকেটে ১৫০ রান।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শাকিব। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি। শুরুতেই ফিরে যান ওপেনার সৌম্য সরকার। কোনও রান করার আগেই তিনি আউট হয়ে যান ব্লেসিং মুজারাবানির বলে। তিন নম্বরে নামা লিটন দাসকেও দ্রুত সাজঘরে ফিরিয়ে দেন মুজারাবানি। তিনটি চারের সাহায্যে তিনি করেন ১২ বলে ১৪ রান। জ়িম্বাবোয়ের জোরে বোলারের জোড়া ধাক্কায় বাংলাদেশের রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর হয়ে যায় সুপার ওভারে। পরে শান্তর সঙ্গে দলের ইনিংসের হাল ধরেন শাকিব। বাংলাদেশের অধিনায়ককেও ব্যাট হাতে দারুণ স্বচ্ছন্দ দেখাল না জ়িম্বাবোয়ের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে। ২৩ রান করতে খরচ করলেন ২০ বল। মারলেন মাত্র একটি চার।
নাজমুল অবশ্য উইকেটের এক প্রান্তে দায়িত্বশীল ইনিংস খেললেন। তাঁর ইনিংসে ভর করেই পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দেওয়া জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো রান তুলল বাংলাদেশ। ৭১ রানের ইনিংসে নাজমুল মারেন সাতটি চার এবং একটি ছয়। শেষ দিকে বাংলাদেশের ইনিংসকে গতি দেওয়ার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। বেশি আগ্রাসী ছিলেন আফিফই। তাঁর ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে। মারলেন একটি করে চার এবং ছয়। বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটারই রান পেলেন না। মোসাদ্দেক হোসেন করলেন ১০ বলে ৭।
শাকিবদের বিরুদ্ধে জ়িম্বাবোয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন সাত জন বোলারকে ব্যবহার করলেন। তাঁদের মধ্যে সফলতম মুজারাবানিই। তিনি ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। এ ছাড়া শন উইলিয়ামস ১০ রান দিয়ে শাকিবের উইকেট পেয়েছেন। ১ উইকেট পেলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বল হাতে তেমন নজর কাড়তে পারলেন পাক বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। ৩৫ রান খরচ করে তাঁর প্রাপ্তি ১ উইকেট। রিচার্ড গাভারা ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। তাঁর দু’টি উইকেটই এল বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভারে। উইকেট না পেলেও ভাল বল করলেন টেন্ডাই চাতারা। ৩ ওভারে ১৮ রান দিলেন তিনি।