দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠায় চাপমুক্ত বাবর। ফাইল ছবি।
প্রায় ছিটকে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়েও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তান। তাতে বাবর আজ়মদের কৃতিত্বের থেকেও বেশি আলোচনা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতা নিয়ে। পাকিস্তানের অধিনায়কের অবশ্য দাবি, এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য্য।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলেই সেমিফাইনালে চলে যেত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু টেম্বা বাভুমাদের অপ্রত্যাশিত হার সুযোগ এনে দেয় পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সামনে। কার্যত নক আউটে পরিণত হয় এই দু’দলের ম্যাচ। শাকিব আল হাসানের দলকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চারের টিকিট পান বাবররা। এই জয়ের পরেই একটি টুইট করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে।
খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা পাক অধিনায়ক স্বস্তি পেয়েছেন রবিবার। নিজের অ্যাকাউন্টে ম্যাচের একাধিক ছবি দিয়ে বাবর লিখেছেন, ‘কখনও না বলতে নেই! ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্যই। আমাদের সবাইকে আপনার প্রার্থনায় রাখুন।’ বাবর হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন, বিশ্বাস রাখলে অসম্ভব অনেক কিছুই সম্ভব। এ জন্যই ক্রিকেটকে বলা হয় মহান অনিশ্চয়তার খেলা।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে সুপার ১২ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হত গতবারের রানার্সদের। দু’দলের সামনেই ছিল তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষ জ়িম্বাবোয়ে এবং নেদারল্যান্ডস। পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রেমীরা তাই অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ শুধু নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচই যে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে, তা সম্ভবত সমর্থকদের অধিকাংশই আঁচ করতে পারেননি। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তো বটেই, বাবরের সতীর্থরাও হয়তো সকলে আশা করতে পারেননি।
খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েও পাক অধিনায়ক নিজে হয়তো ক্ষীণ হলেও আশায় ছিলেন। তিনি হয়তো একটি বেশিই চাপে ছিলেন। কারণ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি ম্যাচেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি তাঁকে। খেলার মাঠে পচা শামুকে পা কাটার উদাহরণ তো কম নেই। ঠিক সে ভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দরজা খুলে গিয়েছে তাঁদের সামনে।
Never say never! AlhumduLillah.
— Babar Azam (@babarazam258) November 6, 2022
Keep us all in your prayers. pic.twitter.com/SDnNy6TjGT
শাকিবের আউট নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গেই জেতে পাকিস্তান। দুরন্ত বোলিং করে ৪ উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। হাঁটুর চোট সারিয়ে তিন মাস পর মাঠে ফেরা বাঁহাতি জোরে বোলারকে খেলানো নিয়েও কম সমালোচনা হচ্ছিল না। শাহিনও শেষ দু’টি ম্যাচে চেনা ছন্দে বল করছেন। সব মিলিয়ে বাবরের ঘাড় থেকে নেমেছে বিরাট চাপ। যা সেমিফাইনালের পর তাঁর টুইটেই পরিষ্কার।