ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর ভারতীয় দল। ছবি: পিটিআই
নকআউটে এসে ভারতীয় দলের ব্যর্থতা অব্যাহত। ২০১৩-র পর থেকে ৯ বছর কেটে গেলেও পরিস্থিতির কোনও বদল হল না। গ্রুপ পর্বে ভাল খেলেও সেই নকআউটে এসে হারতে হচ্ছে ভারতকে। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে গুঁড়িয়ে গেল ভারত। সাড়া জাগিয়ে সেমিফাইনালে উঠেও রোহিত শর্মাদের জারিজুরি ইংরেজদের হাতে শেষ। সেমিফাইনালে এই হার যে কোনও ভারতীয় সমর্থকের কাছেই মেনে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন।
এর আগে সাম্প্রতিক অতীতে কতগুলি নকআউট ম্যাচে হেরেছে ভারত? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন:
২০১৫ এক দিনের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল (বনাম অস্ট্রেলিয়া): অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯৫ রানে উড়ে যায় ভারত। সে বারও পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রতিযোগিতার শুরুটা ভালই হয়েছিল। গ্রুপ পর্বের ছ’টি ম্যাচের ছ’টিতেই জেতে ভারত। কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। কিন্তু সেমিফাইনালে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল। স্টিভ স্মিথ শতরান করেন। অ্যারন ফিঞ্চ ৮১ করেন। জবাবে ধোনির ৬৫ বাদে কোনও ভারতীয় ব্যাটারই রান পাননি।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল (বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ): বিরাট কোহলির অপরাজিত ৮৯ রানের সৌজন্যে ১৯২ তোলে ভারত। ওয়াংখেড়ের পিচে লড়াকু স্কোর ছিল। কিন্তু লেন্ডল সিমন্স (অপরাজিত ৮২) ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে দলকে জিতিয়ে দেন।
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল (বনাম পাকিস্তান): গ্রুপে শ্রীলঙ্কার কাছে হার বাদে ফাইনাল পর্যন্ত যাত্রা মোটামুটি মসৃণ ছিল ভারতের। কিন্তু ফাইনালে গিয়ে ফখর জ়মানের শতরানের সৌজন্যে ৩৩৭ তোলে পাকিস্তান। ভারত শেষ হয়ে যায় ১৫৮ রানে। সে দিনও হার্দিক পাণ্ড্য বাদে ভারতের সব ব্যাটার ব্যর্থ হন।
২০১৯ এক দিনের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল (বনাম নিউজ়িল্যান্ড): বৃষ্টির কারণে দু’দিন ধরে হয় ম্যাচ। কেন উইলিয়ামসন (৬৭) এবং রস টেলরের (৭৪) সৌজন্যে নির্ধারিত ওভারে ২৩৯ তোলে নিউজ়িল্যান্ড। মোটেই খুব একটা বড় রান নয়। কিন্তু কিউয়ি বোলারদের সামনে কেঁপে যান ধোনিরা। রবীন্দ্র জাডেজার ৭৭ এবং ধোনির ৫০ ছাড়া কেউ রান করতে পারেননি।
২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল (বনাম নিউজ়িল্যান্ড): দু’বছর পর ফের সেই নিউজ়িল্যান্ডের কাছে হৃদয়ভঙ্গ হয়। ইংল্যান্ডের আকাশ মেঘলা ছিল। হাওয়া দিচ্ছিল। অবস্থার পুরোপুরি ফায়দা তোলেন কিউয়ি বোলাররা। কোনও ভারতীয় ব্যাটার লড়াই করতে পারেননি। সহজেই ম্যাচ ৮ উইকেটে জেতেন কেন উইলিয়ামসনরা।