দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস মিচেল স্টার্ককে (ডান দিকে) ঘিরে। ছবি: বিসিসিআই।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রত্যাশামতো রান করতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মিচেল স্টার্কের দাপটে টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল। ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদকে কোণঠাসা করে দিলেন মিচেল স্টার্ক। তবু হায়দরাবাদ লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছোল অনিকেত বর্মার সুবাদে। ৪১ বলে ৭৪ রান করলেন তিনি। ১৮.৪ ওভারে ১০ উইকেটে ১৬৩ রান করল হায়দরাবাদ।
অভিষেক শর্মা (১), ট্রেভিস হেড (২২), ঈশান কিশন (২), নীতীশ কুমার রেড্ডি (শূন্য) পর পর আউট হয়ে যান। অভিষেক রান আউট হলেও বাকি তিন জনকেই সাজঘরে ফেরান কলকাতা নাইট রাইডার্সের ছেড়ে দেওয়া অস্ট্রেলীয় জোরে বোলার। ৪.১ ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। সেই অবস্থায় অনিকেতের সঙ্গে দলের ইনিংসের হাল ধরেন হেনরিক ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার করেন ১৯ বলে ৩২। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা তোলেন ৭৭ রান। মোহিত শর্মার বলে ক্লাসেন আউট হওয়ার পর আবার চাপ তৈরি হয় হায়দরাবাদ ইনিংসে। পর পর ফিরে যান অভিনব মনোহর (৪) এবং প্যাট কামিন্স (২)।
১২৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও অনিকেত ২২ গজের এক দিক আগলে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে আউট করেন কুলদীপ যাদব। ৪১ বলের ইনিংসে ৫টি চার এবং ৬টি ছক্কা মারেন অনিকেত। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা উইয়ান মুলডার (৯), হর্ষল পটেলরাও (৫) ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারলেন না। তাঁদেরও আউট করলেন স্টার্ক। ১ রান করে অপরাজিত থাকেন মহম্মদ শামি। স্টার্ক ছাড়া ভাল বল করলেন কুলদীপও। ২২ রানে ৩ উইকেট তাঁর। ২৫ রানে ১ উইকেট মোহিতের।