(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং সুনীল গাওস্কর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আবার সুনীল গাওস্করের রোষে বিরাট কোহলি। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্যাম কনস্টাসকে ধাক্কা দিয়েছিলেন কোহলি। সেই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি গাওস্কর। ফর্মে না থাকা কোহলির সেই আচরণ ক্রিকেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয় বলে মনে করেন গাওস্কর।
মেলবোর্নে টেস্ট অভিষেক হয় কনস্টাসের। সেই ম্যাচে তিনি রান নেওয়ার সময় তাঁকে অকারণে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মারেন কোহলি। সেই আচরণের জন্য শাস্তি পেতে হয় কোহলিকে। কোহলির শাস্তির পরিমাণ নিয়ে অস্ট্রেলীয়েরা প্রশ্ন তুললেও আইসিসির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন গাওস্কর। যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। যদিও কোহলির আচরণ প্রথম থেকেই মানতে পারেননি গাওস্কর। তা নিয়ে আবার সোচ্চার হয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
ক্ষুব্ধ গাওস্কর নিজের কলমে লিখেছেন, ‘‘কোহলি কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মেরে যেটা করেছিল, সেটা ক্রিকেট নয়। উস্কানি দেওয়া হলে বা উত্তেজিত করা হলে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা সাধারণত চুপ থাকে না। কিন্তু ওই ঘটনায় কোনও উস্কানি ছিল না। অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের একটা জিনিস শেখায়। তা হল, মাঠে ভাল সময় কাটাতে হলে জটলার মধ্যে না থাকাই ভাল। প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের অপদস্থ করার চেষ্টা আসলে তাদের চাপে রাখা নয়। এটা নিজেদের বিনোদনের মাধ্যম। কোহলির বোঝা উচিত, এই ধরনের ঘটনায় দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ওর সতীর্থদের উপরই চাপ তৈরি করে। এমন কিছু হলে দর্শকেরাও প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের লক্ষ্য হিসাবে বেছে নেয়।’’ গাওস্কর বোঝাতে চেয়েছেন, কোহলিই দলকে অকারণ চাপে ফেলে দেন।
শুধু মেলবোর্নেই নয়, সিডনি টেস্টেও কনস্টাসের সঙ্গে একাধিক বার ঝামেলায় জড়াতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। যেচে ঝগড়া করেছেন কনস্টাসও। কোহলি অকারণ অস্ট্রেলীয় তরুণকে রান নেওয়ার সময় ধাক্কা না-মারলে পরে উত্তেজনাগুলি তৈরি হত না বলেই মত গাওস্করের। কোহলির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন আচরণ মানতে পারছেন না তিনি।