—ফাইল চিত্র
তাঁর নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে, ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জিতেছে, একাধিক প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে এসেছে। সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন অধিনায়ক এবং নেতা দুটো আলাদা বিষয়। তাঁর সময় আরও অনেকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হতে পারত বলেও মনে করেন সৌরভ।
সৌরভের নেতৃত্বে ২০০০ সালে আইসিসি নকআউট ট্রফির ফাইনাল খেলে ভারত। সেই প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি রান করেছিলেন মহারাজ। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতে ভারত। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলে সৌরভের নেতৃত্বে। যুবরাজ সিংহ, বীরেন্দ্র সহবাগের মতো প্রতিভা উঠে আসে সেই সময়।
মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং সচিন তেন্ডুলকর অধিনায়ক থাকার সময় সৌরভ ছিলেন সহ-অধিনায়ক। এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, “অধিনায়ক এবং নেতা হওয়ার মধ্যে তফাত রয়েছে। অধিনায়ক হিসাবে সিনিয়র এবং জুনিয়রের মধ্যে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা প্রথম কাজ। অধিনায়কত্ব মানে আমার কাছে মাঠে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। নেতৃত্ব মানে একটা দল তৈরি করা। আমি যখন সচিন, আজহার বা দ্রাবিড়ের সঙ্গে কাজ করেছি, কখনও ওদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামিনি। আমি নেতা হিসাবে ওদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। নিজের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি।”
সৌরভ জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরে একটা জিনিস তিনি প্রথমেই বুঝে গিয়েছিলেন। ভারতে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। বিসিসিআই প্রধান বলেন, “প্রতিভা থাকলেই হবে না। সেটা সামনে আসা প্রয়োজন। আমার নেতৃত্বে এমন অনেক ক্রিকেটার খেলেছিল যারা যে কোনও সময় অধিনায়ক হতে পারত। আমি ভাগ্যবান এমন ক্রিকেটারদের পাশে পাওয়ায়। আমি চেষ্টা করেছিলাম সকলকে নিজের প্রতিভা তুলে ধরার মঞ্চ দেওয়ার। একজনকে যখন প্রথম দলে নেওয়া হয় তার প্রতিভার বিচারে নেওয়া হয়। পরের বার তাকে সাফল্যের বিচারে জায়গা করে নিতে হয়। আমার কাছে তাদের কেরিয়ারটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ, আমি জানি ভারতের হয়ে খেলতে হলে কতটা পরিশ্রম করতে হয়।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।