কেকেআরকে হারিয়ে শ্রেয়সের নাচ। ছবি: সমাজমাধ্যম।
মঙ্গলবার কেকেআরের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে জবাব দেওয়ার ম্যাচ ছিল। মর্যাদার সেই লড়াইয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন শ্রেয়স আয়ার। ম্যাচের পর এই জয় শব্দে বর্ণনা করতে পারছিলেন না তিনি। তবে আলাদা করে বোলিং বিভাগ, বিশেষ করে যুজবেন্দ্র চহলের প্রশংসা করলেন।
ম্যাচে বিভিন্ন মেজাজে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও বিরক্ত, কখনও হতাশ, আবার কখনও মুখে একগাল হাসি। আন্দ্রে রাসেল আউট হওয়ার পর তাঁর নাচও নজর এড়ায়নি। সব মিলিয়ে, দিনটা ভালই গেল কেকেআরের কাছে।
ম্যাচের পর শ্রেয়স বললেন, “শব্দে এই জয় বর্ণনা করা যাবে না। আমি স্রেফ নিজের সহজাত খেলার উপরে জোর দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম বল ঘুরছে। তাই যুজিকে (চহল) বলেছিলাম মাথা ঠান্ডা রেখে বল করতে। আমাদের আগ্রাসী হওয়া দরকার ছিল। ভাগ্য ভাল যে সঠিক জায়গায় সঠিক ফিল্ডারেরা ছিল। যা-ই হোক, এখন এ সব বিশ্লেষণ করা সত্যিই কঠিন। এই ম্যাচটা জেতা সত্যিই বিশেষ অনুভূতির।”
কেকেআর শুরুতে দু’টি উইকেট হারালেও অজিঙ্ক রাহানে এবং অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ম্যাচ প্রায় নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে এনেছিলেন। সেখান থেকে কী করে জিতল পঞ্জাব? শ্রেয়সের ব্যাখ্যা, “দু’ওভারে দুটো উইকেট আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। কিন্তু ওদের দু’জন ব্যাটার ম্যাচটা নিজেদের দিকে নিয়ে গেল। যুজি এসে বল ঘোরানো শুরু করতেই আমাদের আশা বেড়ে যায়। আমি চেয়েছিলাম আগ্রাসী ফিল্ডিং সাজাতে। একদম কেকেআর ব্যাটারদের মুখের সামনে, যাতে ওরা ভুল করতে বাধ্য হয়। ওখানেই ম্যাচটা আমাদের দিকে ঘুরে গেল।”
এই পিচে রান করা সহজ ছিল না বলেই শ্রেয়সের মনে হয়েছে যে ১১১ রানও যথেষ্ট ছিল! তিনি বললেন, “পিচের বাউন্স অসমান ছিল। তাই ১৬ রানে জিতে মনে হচ্ছে, ঠিক রানই তুলেছিলাম। বাউন্সের বৈচিত্রের ব্যাপারটা সবার মাথার মধ্যয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। বোলারদের বলেছিলাম, বাউন্সের কথা মাথায় রেখে বল করতে। সেটাই করেছে ওরা।”