শেন ওয়ার্ন। ফাইল ছবি।
শেন ওয়ার্ন নেই। তবু ভীষণ ভাবে আছেন।
প্রয়াত লেগ স্পিনারের স্মৃতি বারে বারে ফিরে আসছে ক্রিকেট বিশ্বে। তাঁর নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় তো বটেই, ওয়ার্ন ফিরছেন ক্রিকেট দুনিয়ার নানা প্রান্তে।যে ইংল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সম্পর্ক অম্লমধুর, সেই ইংল্যান্ডেও ওয়ার্নের স্মৃতি ফিরছে।
ব্রিস্টলের ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন ওয়ার্ন। তখন তাঁর বয়স ১৮। তখনও তিনি ওয়ার্ন হয়ে ওঠেননি। অস্ট্রেলিয়ার উদীয়মান ক্রিকেটার হিসাবে খেলতে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ক্লাবে। সে সময়ের কথা বলেছেন ব্রিস্টলের বাসিন্দা নাইজেল বেভান। ওয়ার্নকে নিয়ে নাইজেলের লেখা একটি চিঠি নেটমাধ্যমে পোস্ট করেছে ইংল্যান্ডের বার্মি আর্মি।
নাইজেল লিখেছেন, ‘ওয়ার্ন তখন ইম্পেরিয়াল ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতে এসেছিলেন। এক দিন রাতে ক্লাবের তাঁবুতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। সে দিন মাঠ কর্মীদের কাজে সাহায্য করেছিলেন ওয়ার্ন। মাঝে মধ্যেই ওঁকে মাঠ কর্মীদের সাহায্য করতে দেখতাম। কারণ মাঠের পাশেই আমার বাড়ি। সকালে উঠে মাঠের বাউন্ডারি পরীক্ষা করছিলেন ঘুরে ঘুরে। সে সময় আমার স্ত্রী বাড়ির বাগানে একটা ছোট পুকুর কাটছিলেন। তা দেখেই ওয়ার্ন সাহায্য করার প্রস্তাব দেন আমার স্ত্রীকে। উত্তর পাওয়ার আগেই দৌড়ে মাঠের বেড়া টপকে আমার বাড়ির বাগানে চলে আসেন। সারা দিন আমার স্ত্রীকে পুকুর কাটার কাজে সাহায্য করেন। ওয়ার্নের সাহায্যেই এক দিনে পুকুর কাটা শেষ হয়েছিল।’
This is a beautiful story ❤️ pic.twitter.com/b2X2eLQYtU
— England’s Barmy Army (@TheBarmyArmy) August 9, 2022
নাইজেল আরও লিখেছেন, ‘সে দিনই ওয়ার্ন আমার স্ত্রীকে নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এক দিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্রিকেট খেলতে চান।’
ওয়ার্নের কেটে দেওয়া সেই ছোট্ট পুকুর এখনও রয়েছে নাইজেলের বাগানে। ওয়ার্নের স্মৃতিতেই সেই পুকুরের নামকরণ করেছেন নাইজেল। নাম দিয়েছেন, ‘শেন ওয়ার্ন মেমোরিয়াল পন্ড’। ওয়ার্ন এ ভাবেই সহজে মানুষের সঙ্গে মিশতে পারতেন। চেনা-অচেনা নিয়ে বিশেষ ছুৎমার্গ ছিল না তাঁর। নিজের খেয়ালে চলতেন। কোনও নিয়মে বাধা যেত না তাঁকে। সে জন্যই হয়তো ওয়ার্নের ক্রিকেট জীবন যেমন বর্ণময়, তেমনই বিতর্কিত।