Sachin Tendulkar

‘সোজা বাড়ি পাঠিয়ে দেব’! অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তরুণ সতীর্থকে ধমকেছিলেন ক্ষুব্ধ সচিন, কেন?

আপাত শান্ত সচিন মেজাজ হারিয়েছিলেন সতীর্থের উপর। তাঁকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কেন রেগে গিয়েছিলেন, তা জানিয়েছেন সচিন নিজেই।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৪৮
খেলোয়াড় জীবনে খুব বেশি মেজাজ না হারালেও এক বার সতীর্থের উপর রেগে গিয়েছিলেন সচিন।

খেলোয়াড় জীবনে খুব বেশি মেজাজ না হারালেও এক বার সতীর্থের উপর রেগে গিয়েছিলেন সচিন। —ফাইল চিত্র

খেলোয়াড় জীবনে তাঁকে খুব বেশি রাগতে দেখা যায়নি। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট হলে হয়তো কখনও বিরক্ত হয়েছেন। কিন্তু রাগ দেখাননি। অথচ সেই সচিন তেন্ডুলকর কিনা রেগে গিয়ে এক সতীর্থকে সোজা দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এত দিন পরে সে কথা জানিয়েছেন তিনি।

সচিনের অধিনায়কত্বে ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারত। সেখানেই ঘটেছিল এই ঘটনা। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সচিন বলেন, ‘‘আমি তখন অধিনায়ক। সে বারের অস্ট্রেলিয়া সফরে এক জন নতুন ক্রিকেটার গিয়েছিল। মাঠে খেলার থেকে দর্শকদের দিকেই তার নজর বেশি ছিল। দু’-এক বার বল ধরতে দেরি করায় এক রানের জায়গায় দু’রান হয়েছিল। এতেই আমি মেজাজ হারাই।’’

Advertisement

তার পরেই সেই ক্রিকেটারকে ডেকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন সচিন। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওকে ডেকে পাঠাই। ওর ঘাড়ে হাত দিয়ে ওকে বলি, আবার যদি ফিল্ডিং করতে গিয়ে একই ঘটনা ঘটে, তা হলে আমি তোমাকে দেশে পাঠিয়ে দেব। হোটেলে নয়, সরাসরি ভারতে পাঠিয়ে দেব। আমি ওকে যেটা বলেছিলাম সেটা দলের অন্য কেউ জানত না।’’

তিনি কী বলেছিলেন সেটা জানালেও কাকে বলেছিলেন তা জানাননি সচিন । কেন বলেছিলেন, সেটা অবশ্য জানিয়েছেন। সচিন বলেন, ‘‘দেশের হয়ে খেলার সময় কোনও অজুহাত দেওয়া যায় না। দেশের হয়ে খেলার থেকে বড় কিছু হয় না। অনেকে সারা জীবন পরিশ্রম করেও দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পায় না। তাই ওকে বলেছিলাম, এই সুযোগকে হেলায় না হারাতে।’’

সে বার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে তিনটি টেস্টেই হেরেছিল ভারত। অধিনায়ক হিসাবে বিশেষ সাফল্য পাননি সচিন। তাঁর নেতৃত্বে ২৫টি টেস্টের মধ্যে মাত্র চারটিতে জিতেছিল ভারত। সচিনের নেতৃত্বে ৭৩টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছিল ভারত। জিতেছিল মাত্র ২৩টি ম্যাচ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement