লক্ষ্য: জিতেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চান টেলর। ফাইল চিত্র।
রবিবার ক্রাইস্টচার্চে তিনি দেশের হয়ে শেষ টেস্ট খেলতে নামবেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের স্মৃতি নিয়েই কি বাইশ গজকে বিদায় জানাতে পারবেন রস টেলর?
সিরিজ়ের শেষ টেস্ট শুরুর আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে ৩৭ বছরের অভিজ্ঞ ব্যাটার রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন, ক্রাইস্টচার্চের সবুজ উইকেটে গতির ঝড়ে উড়ে যাবেন মোমনুল হাসানরা। যদিও একইসঙ্গে তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দুরন্ত জয়কে। টেলরের মনে হয়েছে, ক্রিকেটের পক্ষে অত্যন্ত শুভ ইঙ্গিত ইবাদত হোসেনদের এই দুর্দান্ত জয়।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে টেলর বলেছেন, “বিশ্বক্রিকেটের পক্ষে এটা খুবই ভাল খবর। আমরা তো প্রথম টেস্টে ওদের সামনে দাঁড়াতেই পারিনি। বাংলাদেশ তার জন্য গর্ব করতেই পারে। বিশ্ব টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই এটা খুব শুভ ইঙ্গিত। এই জয় থেকে ওরাও প্রচুর আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে। আমি এই ফলকে মোটেও খারাপ বলতে পারব না।”
রবিবার দেশের হয়ে ১১২ নম্বর টেস্ট খেলতে নামবেন টেলর। স্পর্শ করবেন প্রাক্তন অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেত্তোরির কীর্তিকে। সঙ্গে রয়েছে পাঁচ বছর আগে এই মাঠেই আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকালামের বিদায়ী মুহূর্তের স্মৃতি। ঘটনাচক্রে সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরেছিল নিউজ়িল্যান্ড। তাঁর বিদায়ের মুহূর্ত কি সুখের হবে?
টেলর বলেছেন, “আমরা তো ০-১ পিছিয়ে রয়েছি। সকলেই চাইবে সিরিজ়ে সমতা ফেরাতে। তাই নিজেদের উজাড় করে দেবে। তা ছাড়াও এই মাঠের পরিবেশ আমাদের চেনা, অনেক সুন্দর জয়ও রয়েছে এখানে। ফলে ধরে নিতে পারি, জয় নিয়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারব।” তাঁর প্রাক্তন অধিনায়ক বিদায়ী টেস্টে উপহার দিয়েছিলেন ৫৪ বলে ১০০ রানের ইনিংস, যা টেস্টে দ্রততম সেঞ্চুরি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাকালাম ৭৯ বলে ১৪৫ রান করেছিলেন। তিনিও কি তেমন কোনও স্মরণীয় ইনিংস উপহার দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন? টেলরের অপকট জবাব, “ব্রেন্ডন যা করেছিল, তাকে স্পর্শ করা খুবই কঠিন। ও যে মাত্রাটা তৈরি করে দিয়েছিল, সেটা খুবই উচ্চমানের। সকলের পক্ষে জীবনের শেষ টেস্টে এমন একটা ইনিংস খেলা সম্ভব নয়। তার চেয়ে সিরিজ়ের শেষ ম্যাচটা জিতলেই আমি বেশি খুশি হব। এই মাঠে আমাদের সাফল্যের অতীত পরিসংখ্যান যথেষ্ট ভাল।”