(বাঁ দিক থেকে) বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
১৬ বছরে এই ঘটনা ঘটেনি। এই প্রথম বার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি অধিনায়ক হিসাবে খেলছেন না। তিন জনই খেলবেন সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবে। বিরাট নিজেই আগে নেতৃত্ব ছেড়েছেন। এ বারের প্রতিযোগিতা শুরুর আগে নেতৃত্ব গিয়েছে রোহিত ও ধোনির।
২০০৮ সালে আইপিএল শুরু হয়েছিল। প্রথম মরসুম থেকে খেললেও ২০১৩ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক করা হয়েছিল বিরাট কোহলিকে। তার পর থেকে টানা নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এক বারও ট্রফি জিততে পারেননি। ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছিল। অবশেষে ২০২১ সালে আরসিবির অধিনায়কত্ব ছাড়েন কোহলি। অধিনায়ক করা হয় ফাফ ডুপ্লেসিকে। পরের দু’বছর সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবে খেললেও ট্রফি জিততে ব্যর্থ বিরাট।
রোহিত আবার শুরু থেকে মুম্বইয়ে ছিলেন না। প্রথম দু’বছর ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। পরের বার মুম্বইয়ে যান। ২০১৩ সালের মাঝপথে রোহিতের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয় মুম্বই। প্রথম বারই দলকে আইপিএল জেতান তিনি। সেই শুরু। পরে ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালেও আইপিএল জিতেছেন রোহিত। মুম্বইয়ের সব থেকে সফল অধিনায়ককে এ বার সরিয়ে দিয়েছে দল। আইপিএলের নিলামের আগে হার্দিক পাণ্ড্যকে গুজরাত টাইটান্স থেকে কেনে মুম্বই। তার পরে তাঁকে অধিনায়ক করা হয়। রোহিতকে সরানো নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। যদিও এই বিষয়ে রোহিত কিছু বলেননি।
তালিকায় শেষ সংযোজন ধোনি। ২০০৮ সাল থেকেই চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক ছিলেন ধোনি। সেই শুরু। তার পর থেকে একমাত্র ২০২২ সালের শুরুর আটটি ম্যাচে ধোনি চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ছিলেন না। বাকি প্রতিটি মরসুমে ধোনি চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাঝে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে চেন্নাইকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। সেই দু’বছর রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টের হয়ে খেলেছিলেন ধোনি। ২০১৬ সালে তিনি অধিনায়ক থাকলেও ২০১৭ সালে অধিনায়ক করা হয়েছিল স্টিভ স্মিথকে।
২০১০ সালে প্রথম বার চেন্নাইকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ধোনি। তার পরে ২০১১, ২০১৮, ২০২১ ও ২০২৩ সালেও দলকে ট্রফি দিয়েছেন ধোনি। রোহিতের মতো তিনিও অধিনায়ক হিসাবে পাঁচ বার আইপিএল জিতেছেন। আরও এক বার তাঁর হাতে ট্রফি দেখতে চেয়েছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু তার আগেই নেতৃত্ব ছেড়েছেন তিনি।
গত বার আইপিএল জেতার পরে ধোনি জানিয়েছিলেন, হাঁটুর চোট ভোগালেও সমর্থকদের কথা ভেবে অন্তত আর এক বছর তিনি খেলবেন। এ বার প্রতিযোগিতার আগে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। তার পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হয়তো এ বারই শেষ বার খেলবেন ধোনি। সেই কারণে পরবর্তী অধিনায়ক তৈরি করে যেতে চাইছেন। তাই রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাতে অধিনায়কত্ব তুলে দিয়েছেন তিনি।