রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
রান নেই রোহিত শর্মার ব্যাটে। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হওয়ায় মেলবোর্নে ওপেন করেছেন। তাতেও লাভ হয়নি। তাঁর টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসবেন প্রধান জাতীয় নির্বাচক অজিত আগরকর। ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে উঠতে না পারলে, লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করতে পারেন রোহিত। তেমন হলে ভারতের পঞ্চম অধিনায়ক হিসাবে অস্ট্রেলিয়ায় নিজের শেষ টেস্ট খেলবেন রোহিত।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন রোহিত। এখনও টেস্ট এবং এক দিনের আন্তর্জাতিক খেলছেন। তবে টেস্ট ক্রিকেটে বেশ কিছু দিন ধরে চেনা রোহিতকে দেখা যাচ্ছে না। শেষ ১৪টি টেস্ট ইনিংসে একটি অর্ধশতরান করেছেন। দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি ন’টি ইনিংসে। স্বভাবতই তাঁর টেস্ট ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। মেলবোর্নেই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেন আগরকর। সিডনিতেই নিজের শেষ টেস্ট খেলতে পারেন রোহিত।
ইচ্ছা না থাকলেও রোহিতকে বাধ্য করা হতে পারে অবসর নিতে। ঠিক যেমন ২০০৮ সালের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির দিল্লি টেস্টের পর চোটের জন্য অবসর নিতে বাধ্য হন অনিল কুম্বলে। সিরিজ় শেষে অবসর নিতে চেয়েছিলেন কুম্বলে। কিন্তু আঙুলে চোট পাওয়ায় সেই সিরিজ়ে তাঁর পক্ষে আর খেলা সম্ভব ছিল না। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দিল্লি টেস্টের পরই অবসর ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।
একই সিরিজ়ের পর টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ভারতের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। নাগপুরে সিরিজ়ের শেষ টেস্ট খেলার পর অবসর নিয়েছিলেন সৌরভ। কুম্বলের মতো তিনিও সিরিজ় শুরুর আগে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজের শেষ টেস্ট খেলেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়ও। ২০১১-১২ মরসুমের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির পর দেশে ফিরে অবসর ঘোষণা করেন দ্রাবিড়। তার আগে ইংল্যান্ড সফরে দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি। সেই সুবাদে দু’বছর পর এক দিনের দলেও ফিরে ছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ়ে ব্যর্থ হন। তার পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ভারতের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০১৪ সালের বক্সিং ডে টেস্টের পর হঠাৎ টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ধোনি। সেই ম্যাচ ড্র হওয়ার পর ভারতীয় দল সিরিজ়ে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সিরিজ়ে সমতা ফেরানোর বা সিরিজ় জেতার সুযোগ ছিল অধিনায়ক ধোনির সামনে। কিন্তু অবসর ঘোষণা করে ক্রিকেট মহলকে চমকে দিয়েছিলেন মাহি।