এগিয়ে এলেও আহত, অসহায় পন্থকে সাহায্য করেননি অধিকাংশ স্থানীয়। ছবি: টুইটার।
দুর্ঘটনার পর কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা ঋষভ পন্থকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। অধিকাংশই অবশ্য শুধু ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রকৃত সাহায্য করেন মাত্র দু’জন। সেই দুই যুবক পন্থের সঙ্গে সক্ষম হাসপাতালেও যান।
পন্থের দুর্ঘটনায় আরও এক বার উঠে এল অমানবিক ছবি। তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর অধিকাংশ গাড়িই না দাঁড়িয়ে চলে গিয়েছে। পন্থকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি কোনও গাড়িচালক। কয়েক জন স্থানীয় এগিয়ে এলেও অধিকাংশই দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ এবং আইনের ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কায় অনেকেই সক্রিয় ভাবে সাহায্য করতে চান না। শুক্রবার সকালে পন্থের ক্ষেত্রেও তেমনই ঘটনা দেখা গিয়েছে।
দুর্ঘটনার আওয়াজ শুনে এগিয়ে আসা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মাত্র দু’জন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন পন্থের দিকে। বাকি ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুধু। গুরুতর আহত পন্থকে দুই যুবক রাস্তা থেকে তোলেন। শীতের ভোরে গায়ে জড়িয়ে দেন মোটা চাদর। কিন্তু পুলিশ বা অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেননি কেউ। পন্থ নিজেই গুরুতর আহত অবস্থায় ফোন করে পুলিশ এবং অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য যোগাযোগ করেন। স্থানীয় দুই যুবক তাঁর সঙ্গে রুরকির সক্ষম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেও যান।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ স্থানীয়দের একাংশের এই অমানবিক ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। একই সঙ্গে গুরুতর আহত অবস্থায় নিজে সব ব্যবস্থা করার জন্য প্রশংসা করেছেন পন্থের।
Instead of helping Rishabh Pant, some men at the accident spot looted his money from his bag. Rishabh Pant had to call himself for ambulance.
— uzair (@uzairjafy) December 30, 2022
Rishabh Pant survived, Humanity died pic.twitter.com/MFmVvxyFq8
পরে চিকিৎসার জন্য পন্থকে দেহরাদূনের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এক্স-রে, সিটি স্ক্যান-সহ নানা পরীক্ষা করা হয়েছে পন্থের। দেহরাদূনের হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আশঙ্কার কিছু নেই।